কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা

মুহিববুল্লাহ মুহিব, কক্সবাজার::

একই স্থানে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারেরর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান।

তিনি বলেন, ‘দুটি পক্ষের কর্মসূচির কারণে একটি উত্তপ্ত পরিস্থিতির শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্যে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। ১৪৪ জারির নথি থানায় পাঠানো হচ্ছে। এরপর হয়তো মাইকিং করা হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শহরের শহীদ স্মরণী সড়কে সোমবার বিকেলে সমাবেশ ডাক দেয় কক্সবাজার জেলা বিএনপি।

বিএনপি যে জায়গা কর্মসূচি ডেকেছে সেখান থেকে ১০০ গজ দূরে শহীদ মিনারে গণতন্ত্রের বিজয় উদযাপনে কর্মসূচি দেয় যুবলীগ। এর পরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এলো।

ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, শহরের গুনগাছতলা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সোমবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এই সীমানায় কেউ সমাবেশ করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, ১৪৪ ধারা বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে চারটি মোবাইল টিম। সমাবেশের জন্য বিএনপিকে যে অনুমতি দেয়া হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে।

নির্দিষ্ট এলাকায় সভা-সমাবেশের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আসার আগে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি ও যুবলীগের নেতারা।

কক্সবাজার জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের তাদের সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সরেজমিনে রোববার বিকেলে দেখা যায় সমাবেশ সফল করতে মঞ্চ তৈরির কাজ করছেন শতাধিক শ্রমিক। জড়ো হওয়া বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীর মাঝেও উৎসাহ দেখা গেছে।

জেলা বিএনপির কার্যালয়, শহীদ মিনার এলাকা ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। জেলার নয় উপজেলা থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী এতে অংশগ্রহণ করবেন বলে নেতারা দাবি করেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতিমধ্যে সমাবেশ ঘিরে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সবাইকে অবহিত করেছি। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ সবাই সহযোগিতা করবে সেটাই প্রত্যাশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সমাবেশের জন্য পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ, ঈদগাহ ময়দান, মুক্তিযোদ্ধা মাঠের অনুমতি চেয়েছিলাম। আমাদের সেখানে অনুমতি দেয়া হয়নি। সমাবেশে হাজার হাজার জনতা সমবেত হবেন। তারপরও আমি আশা করছি, সবার সহযোগিতা পাব।’

বিজয় উদযাপন কর্মসূচি প্রসঙ্গে জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর জানান, ‘‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক।

‘‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের আস্ফালন আর সহিংস রাজনীতির ছায়া কাটিয়ে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় অগ্রসর হয় বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন করছে। যুবলীগের কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’’

পাঠকের মতামত: