কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার থেকে ট্রেন যাবে চীনে, প্রধানমন্ত্রীর ১০ অগ্রাধিকারে অন্যতম

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত রেললাইন টেনে নিয়ে যাওয়ার একটি প্রকল্প আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীর্ষ ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রেন যাবে কলকাতায়ও। এভাবে গোটা এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পটি ট্রান্স এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে চীন, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এমন তথ্য জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে থাকা দ্বিতীয় প্রজেক্টটি হলো পদ্মা লিংক। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭১ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পার হয়ে যাবে এই রেললাইন। দ্বিতীয় রেলসেতু হবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে। ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু দিয়ে ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে। এই সেতুতে আলাদা দুটি লাইন থাকবে।

বর্তমানে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। একই সঙ্গে কাজ শুরুর কথা থাকলেও মিয়ানমারে অনুমতি না মেলায় তৃতীয় প্যাকেজের আওতায় রামু থেকে গুনদুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।

জানা গেছে, ট্রান্সএশিয়ান রেলরুটের আওতায় মিয়ানমারের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনে দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকা গুনদুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কথা ছিল। এ জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। তারাও নিজ দেশে চীন পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপন করবে— এমন কথা ছিল। তবে আপাতত দেশটি ট্রান্সএশিয়ান রেলরুটে যোগ দিতে কোনো ধরনের প্রকল্প নেয়নি।

রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-দোহাজারী হয়ে কক্সবাজার দিয়ে গুনদুম পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। গুনদুম একেবারে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা। ওই এলাকায় কাজ করতে দেশটির অনুমোদন দরকার। তাই রামু থেকে গুনদুম অংশের দরপত্র আহ্বানের আগে মিয়ানমারের অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, এ নিয়ে অনেকবার মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনাও হয়। তবে তারা এ বিষয়ে এখনও অনুমোদন দেয়নি। যার ফলে আমরাও গুনদুম সীমান্ত পর্যন্ত রেল নিয়ে যেতে পারছি না। যদি তারা অনুমোদন দেয় তবে ওই অংশের দরপত্র আহ্বান করা হবে, কাজ শুরু হবে— যা চীন পর্যন্ত যাবে। সুত্র: চিটিজিপ্রতিদিন

পাঠকের মতামত: