কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজার সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেস্ক

ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে বেষ্টনি হিসেবে দেওয়া বালির জিও ব্যাগ ও সৈকতে অবস্থিত ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবা বক্সে।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অবস্থিত ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবা বক্সটি সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় কোনো মতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঢেউয়ের ধাক্কা বাড়তে থাকলে পুলিশ বক্সটি যে কোনো সময় সমুদ্রে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন লাবণী পয়েন্টের ব্যবসায়ীরা।

এদিকে যে কোনো সময় ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় দেশের সব সমুদ্র বন্দর সমূহে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া।

আবদুল হামিদ মিয়া জানান, ভারতের ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘সাগর উত্তালের কারণে পানি কাছে চলে আসছে। ঢেউয়ের ধাক্কায় জিও ব্যাগের বালি বের হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি জিও ব্যাগ ছিড়ে গেছে। ঢেউয়ের ধাক্কা এবং স্রোতের টান লেগে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের লাবণী পয়েন্টের সেবা বক্সটি সাগরে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের পানিতে নামা থেকে বিরত রাখার চেষ্টায় মাইকিং ও সাইরেন বাজানো অব্যাহত রেখেছে। সমুদ্র শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’

এদিকে ঢেউয়ের ধাক্কায় বালির জিও ব্যাগ সহজে ছিঁড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি সংশ্লিষ্টদের অপরিকল্পিত কাজ বলে দাবি করছেন কক্সবাজারের সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: