কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজার সৈকতে ছবি তোলার প্রস্তাব দিতে পারবে না ফটোগ্রাফাররা

সমুদ্র সৈকতে কর্মরত ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় সৈকতে পর্যটকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ছবি তোলার প্রস্তাব, অনুরোধ না করা এবং কোনো প্রকার পর্যটক হয়রানি না করাসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে তাদের সমস্যা আর নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।

সভায় বিশেষ করে ফটোগ্রাফারদের বিরুদ্ধে পর্যটকদের নানা অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো হচ্ছে- যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ফটোগ্রাফারের বিচে ফটোগ্রাফি করতে দেওয়া হবে না। কোনো অবস্থাতেই ট্যুরিস্টদের সঙ্গে ফটোগ্রাফাররা বিবাদে জড়াতে পারবে না বা খারাপ আচরণ করতে পারবে না। ফটোগ্রাফার এবং ট্যুরিস্টদের মধ্যে মূল্য নিয়ে বা আচরণ নিয়ে কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানাবে। ফটোগ্রাফাররা কোনো পর্যটককে ছবি তোলার ব্যাপারে প্রস্তাব বা অনুরোধ করতে পারবে না, পর্যটকদের প্রয়োজন হলে তারা নিজেরাই ফটোগ্রাফারদের ডেকে নেবে। ফটোগ্রাফারদের বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত আইডি কার্ড ও নির্ধারিত নম্বরসহ পোশাক পরিধান করতে হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওন হতে বাছাই করে অভিজ্ঞ ও ট্যুরিস্টবান্ধব ফটোগ্রাফার নির্বাচন করে ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ‘নিরাপদ ফটোগ্রাফার পরিচয়পত্র’ দেবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওন একটি ডাটাবেজ তৈরি করবে। সিনিয়র ও দায়িত্বশীল ফটোগ্রাফারদের দিয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হবে। ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে বসে খুব শিগগিরই নতুন মূল্য তালিকা প্রণয়ন করা হবে। সৈকতের প্রবেশপথে কোনো ফটোগ্রাফারকে দাঁড়াতে দেওয়া হবেনা এবং কোনো ট্যুরিস্টকে ফলো করে তাদের ছবি তুলতে অনুরোধ করা যাবে না। প্রশিক্ষণবিহীন বা অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো ফটোগ্রাফারকে বিচে ফটোগ্রাফি করতে দেওয়া হবে না। পর্যায়ক্রমে সকল ফটোগ্রাফারকে পর্যটকদের সঙ্গে আচরণ ও কাস্টমার হ্যান্ডলিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

অবৈধ ফটোগ্রাফারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং তাদের আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ ফটোগ্রাফারদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, সকলের সহযোগিতায় সুশৃঙ্খল ও সৌন্দর্যময় সমুদ্রসৈকত উপহার দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করার জন্য পুলিশের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এর আগে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ইনানী জোন কর্তৃক অবৈধ ফটোগ্রাফারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাতটি ক্যামেরা জব্দ করা হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনানী জোনের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথক অভিযানে ইনানী বিচ থেকে ৪ জন ও পাটুয়ারটেক বিচ থেকে ৩ জন অনুমোদনবিহীন ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে মোট ৭টি ক্যামেরা জব্দ করে বাজেয়াপ্ত করা হয়।

পাঠকের মতামত: