কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার সৈকতে ফের বর্জ্য-বন্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি::

কক্সবাজার সৈকতে আবারও বর্জ্য-বন্যা হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ জুলাই) কক্সবাজার শহরতলীর মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন দরিয়ানগর সৈকতের ১ কিলোমিটারব্যাপী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ১১ জুলাই একই সৈকতের ৫ কিলোমিটারব্যাপী এলাকায় অকস্মাৎ বর্জ্যের পাহাড় ভেসে এসেছিল।
তবে এবার ভেসে আসা বর্জ্যের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগই জৈব বর্জ্য বা পচনশীল দ্রব্য।
এগুলোর মধ্যে বাঁশজাতীয় উদ্ভিদ ও প্যারাবনের উদ্ভিদ বীজই বেশি। বাকি ৫ ভাগ বর্জ্য মধ্যে সেন্ডেল, ওয়ানটাইম চায়ের কাপ, জাল ও দড়িসহ মাছ ধরার সামগ্রী বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ‘দরিয়ানগর গ্রীন ভয়েস’-এর সভাপতি পারভেজ মোশাররফ (এমএইচ পারভেজ) ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সায়েম জানান, বুধবার বিকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে উপকূল বরাবর তীব্র বায়ু প্রবাহ শুরু হলে সামুদ্রিক জোয়ারের সাথে এসব বর্জ্য ভেসে আসতে থাকে। তবে এবার ভেসে আসা বর্জ্যের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ জৈব বর্জ্য বা পচনশীল দ্রব্য হলেও আগেরবারের বর্জ্যের ৯০ ভাগই ছিল অপচনশীল দ্রব্য। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পরিত্যক্ত প্লাস্টিক।
যেমন: জাল, দড়ি, প্লাস্টিকের ঝুঁড়ি, মদের কাঁচের বোতল ও প্লাস্টিকের টুকরো। আর এবারের বর্জ্যের বেশিরভাগই ছিল এক ধরনের বাঁশ, কাঠখণ্ড, শেকড় ও উদ্ভিদ বীজ।

তবে গতবারের বর্জ্যের সাথে শতাধিক মূমুর্ষূ ও মৃত কচ্ছপ, সাপ, বার্নাকলসহ নানা সামুদ্রিক প্রাণী দেখা গেলেও এবার তা ছিল না বলে জানান স্থানীয় পরিবেশবাদীরা।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, “কক্সবাজার সৈকতে কেন, কোথা থেকে ও কীভাবে বর্জ্য ভেসে আসছে তা তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এবারের বর্জ্য জৈব বলে সৈকতের জীববৈচিত্র্যের জন্য তা লাভজনকই মনে করছেন পরিবেশবিদরা।”

পাঠকের মতামত: