কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ করোনা সংক্রমণ কমাবে : সিভিল সার্জন

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমান::

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে করোনা পজেটিভ রোগীদের সাথে কন্ট্রাকে থাকা ব্যক্তিদের কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং এর মাধ্যমে সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ অনেক কমে আসবে। এজন্য এই স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ চলমান করোনা ভাইরাস সংকটে করোনা প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কন্ট্রাক ট্রেসিং সনাক্ত করতে স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া এক প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া এই দূরদর্শী উদ্যোগ নেওয়ায় তাঁকে সিভিল সার্জন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সোমবার ২২ জুন সকাল ১০ টায় জেলা ইপিআই কনফারেন্স হল এ কক্সবাজার পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকদের Field Training on Cotact Tracing of COVID-19 Cases এর উপর অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ সেশনে সভাপতিত্ব করেন-কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সংক্রমণ প্রতিরোধে নতুন পন্থা উদ্ভাবন ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এই প্রশিক্ষণ এ পদক্ষেপেরই একটি অংশ।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর এর সঞ্চালনায় উক্ত স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ সেশনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. আবু মোঃ সামশুদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক (সার্জারী) ডা. মোঃ আরিফ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক (ট্রপিক্যাল মেডিসিন) ডা. মোঃ শাহজাহান, কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ আলী এহসান, সিভিল সার্জন অফিসের সার্ভিল্যান্স ইমু্নাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. সুরাইয়া আক্তার জেমি, WHO এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার ডা. উম্মে আসমা আবছারী, কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর প্রমুখ। কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগ এর তত্ত্বাবধানে দুইটি সেশনে সর্বমোট ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক এ Field Training on Cotact Tracing of COVID-19 Cases এ অংশ গ্রহন করেন বলে জানান কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

এদিকে, এই প্রশিক্ষণের অন্যতম উদ্যোক্তা অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, করোনা পজেটিভ রোগীদের সাথে কন্ট্রাকে থাকা ব্যক্তিদের স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে সনাক্ত করা হবে। কন্ট্রাক ট্রেসিং এর মাধ্যমে সনাক্ত হওয়া লোকজনকে পরবর্তীতে কোয়ারান্টাইনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কন্ট্রাক ট্রেসিং এর মাধ্যমে সনাক্ত হওয়া লোকজনের মধ্যে যাদেরকে সন্দেহজনক করোনা রোগী মনে হবে এবং শরীরে উপসর্গ দৃশ্যমান থাকবে তাদের শরীরের স্যাম্পল কালেকশন করে ল্যাবে টেস্ট করা হবে। আবার টেস্ট রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত তাদেকে আইসোলেশন রাখা হবে।

মঙ্গলবার ২৩ জুন থেকে স্বেচ্ছাসেবকেরা তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে করোনা ‘পজেটিভ’ রোগীদের সাথে কন্ট্রাকে থাকা ব্যক্তিদের কন্ট্রাক ট্রেসিং এর মাধ্যমে সনাক্ত করে তালিকা তৈরি করবেন। কন্ট্রাক ট্রেসিং এ সনাক্ত হওয়া উপসর্গবিহীন লোকজনকে অন্য কোথাও সম্ভব না হলে সাইক্লোন সেন্টার গুলোতে কোয়ারান্টাইনে রাখার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। করোনা ‘পজেটিভ’ রোগীদের সাথে কন্ট্রাকে থাকা ব্যক্তিদের কন্ট্রাক ট্রেসিং এর মাধ্যমে সনাক্ত করতে প্রথমে কক্সবাজার পৌরসভাকে বাচাই করা হয়েছে বলে জানান, অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া।

পাঠকের মতামত: