কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কমছেই না চালের বাজারের অস্থিরতা

নতুন ধান বাজারে আসার পরও চালের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। বড় কোম্পানি ও মিলাররা দাম বাড়ানোয় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা।

 

দিনাজপুরে বাজারে আমন ধানের সরবরাহ বাড়লেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চালের দাম। জেলার বড় পাইকারি মার্কেট বাহাদুর বাজারে ১০ দিনের ব্যবধানে চিকন চাল প্রকারভেদে প্রতি মণে বেড়েছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

এ বাজারে মিনিকেটের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া নাজিরশাইল ৮৩ টাকায়, বাসুমতি ৮৫ টাকায়, কাটারি সিদ্ধ ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকায়, কাটারি আতপ ১২০ টাকায়, চিনিগুঁড়া ১২৮ টাকায়, গুটিস্বর্ণ ৫০ টাকায়, ২৯ চাল ৫৮ টাকায় এবং ২৮ চাল ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের নজরদারির দাবি করেন তারা। এক ক্রেতা বলেন, বর্তমানে চালের বাজারের যে অবস্থা, এতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য চলা খুবই কষ্টসাধ্য।

এদিকে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, বড় বড় কোম্পানি ও মিলাররা দাম বাড়ানোয় এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে।

এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, গত দুই থেকে তিন ধরে বাজারে মোটা চালের দাম বেশি। বস্তায় ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিশেষ করে আতপ চালের দাম বেশি বেড়েছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতো, দিনাজপুরে এবার ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। আর চালের লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ ৭৭ হাজার টন।

পাঠকের মতামত: