কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

করোনায় কুপোকাত কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নগরী কক্সবাজার। সমুদ্রের নীল জলরাশিতে গা ভাসাতে আর সৈকত দর্শনে সারাবছর জুড়ে পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকতো। সেই সব এখন ইতিহাস।

করোনা মহামারিতে শনিবার থেকে ২০ জুন পর্যন্ত আবারও কক্সবাজার শহরকে লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনের কারণে মাসের পর মাস পড়ে আছে ফাঁকা পুরো সৈকত। চার শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ, কটেজে নেই কোনও সাড়া শব্দ। পর্যটন স্পটগুলোতেও সুনশান নিরবতা। পর্যটনে কখন কোলাহল ফিরবে, ফিরে পাবে প্রাণচাঞ্চল্য কারও জানা নেই। চরম অনিশ্চতা আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এ পর্যন্ত অন্তত ৭ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবী কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সংক্রমণ এড়াতে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজারে পর্যটক নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসা বাণিজ্য। এতে মাসের পর মাস লোকসানে রয়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে নতুন করে কক্সবাজার শহরকে রেড জোন ঘোষণা করে ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সম্পূণ লকডাউন করা হয়।

পর্যটন ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন দুলালের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কক্সবাজারে প্রতিবছর দেশি-বিদেশি মিলিয়ে অর্ধকোটি পর্যটক আসেন। তাদের যাতায়াতে প্রতিদিন দূরপাল্লার বাস ও ১০-১২টি বিমানের ফ্লাইট আসা যাওয়া করে। পর্যটক সেবায় রয়েছে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজ এবং কয়েক’শ রেস্তোরাঁ। সমুদ্র ভ্রমণ আরামদায়ক করতে কাজ করে শতাধিক ট্যুরিজম। বিনোদনের জন্য রয়েছে নানা পর্যটন স্পট। ভ্রমণের মুহূর্ত ফ্রেমে বন্দি করে রাখতে কাজ করে তিন শতাধিক ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফার। রয়েছে শামুক-ঝিনুক সহ নানা বিলাসী পণ্য বিক্রির হাজারো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

তার মতে, করোনার প্রভাবে বন্ধ হওয়া পর্যটন কবে নাগাদ প্রাণ ফিরে পাবে সেটা জানা নেই কারও। পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল খাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবী কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, কক্সবাজারে চার শতাধিক হোটেল, রেস্তোরা, রিক্সাচালক থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট সবকিছু লকডাউনে। আমাদের ধারণা করোনা সংকটে ব্যবসায়ীকভাবে এপর্যন্ত অন্তত ৭ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এরমধ্যে অনেক রেস্তোরা এবং হোটেল মালিক ব্যাংক ঋণের সাথে জড়িত। তারা চরম হতাশার মধ্যে আছে।

পাঠকের মতামত: