কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

করোনা প্রতিরোধে দিন রাত পুরো ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছেন ঘুমধুম ইউপি সচিব এরশাদুল হক

আজিজুল হক রানা::

বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে অাতঙ্ক! মানুষ এখন অনেকটা নিজ গৃহে বন্দী। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। অনেক সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবী দীর্ঘ ছুটি নিয়ে নিজ ঘরে অবস্থান করছেন। গোটা পৃথিবীর প্রায় ২০০ দেশে এই মহামারি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত্যু বরণ করেছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক। বাংলাদেশে প্রতিদিন করোনা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। মৃত্যু বরণ করেছে ৫০ জনের অধিক এমতাবস্থায় বাংলাদেশের ঝুকিপূর্ণ জেলা,উপজেলা,পৌরসভা ক্ষেত্র বিশেষে ইউনিয়ন,ওয়ার্ড, পাড়া মহল্লা ও ঘরবাড়ি লগডাউন করা হচ্ছে। অনেকটা “নিজে বাঁচলে বাপের নাম” নীতি অনুসরণ করছে সবাই। এত অাতঙ্কের পরেও নিজ ইউনিয়নের সর্বত্রই চষে বেড়াচ্ছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এরশাদুল হক। কোন প্রতিরোধক সরন্জ্ঞাম ছাড়া তিনি মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দিন রাত এক করে প্রতিটি ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডেও গিয়ে সচেতনামুলক লিপলেট বিতরণ,মাইকিং,ঘোষণা পত্র পাঠ,সরকারী গ্রাণ বিতরণসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। এসব কর্মকান্ডে পুরো ইউনিয়নবাসী এরশাদুল হকের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এরশাদুল হক বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু গ্রামে জন্মস্থান করেন। মরহুম পিতা ও সারা জীবন মানব সভ্যতা বিকাশে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এরশাদুল হল ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম আলীয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল, ২০০১ সালে আলিম ও ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ১ম শ্রেনী অর্জন করেন। পেশা জিবনে তিনি ২০১৪ সালে ইউপি সচিব হিসাবে যোগদান করেন৷ পরিবারের অধিকাংশ ভাই,বোন অাত্বীয়-স্বজন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত অাছেন। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে সচিব হিসাবে যোগদানের পর থেকে নিজ ইউনিয়নের মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছন তিনি। সাংবাদিকদের সাথে অালাপকালে তিনি বলেন সততার সাথে কাজ করি বলেই আমি অনেকের চোখের বালি, অনেক ষড়যন্ত্রের পরও জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন আমাকে নিজ দায়িত্বে বহাল রেখেছেন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তিনি ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্বে অাছেন। সে হিসাবে সরকার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মতে কাজ করেছেন বলে জানান তিনি। ইউনিয়নের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি ২৪ ঘন্টা ইউএনও নাইক্ষংছড়িকে অবহিত করেন বলে জানান তিনি। বিদেশ থেকে এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লোকদের তথ্য উপজেলা প্রশাসনকে জানানো, তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, উপজেলা প্রশাসনের লকডাউন ঘোষনার পর থেকে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি, গৃহবন্ধী,কর্মহীন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, ত্রান কার্যক্রম পরিচালনাসহ ইউয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাইর থেকে আসা লোকদের তথ্য সংগ্রহ সব চাইতে চ্যালেঞ্জ ছিল। সর্বশেষ তাবলীগ ফেরত লোকের কোয়ারেন্টিনে থাকাবস্থায় করোনা পজেটিভ হয় তখন সমগ্র গ্রাম কঠোর লকডাউন হয়, সেই কঠিন মুহুর্তে গ্রাম পুলিশদের নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সরকারি নির্দেশনা মতে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে করোনা নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছন তিনি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি এম. ছৈয়দুল বশর জানান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এরশাদুল হক সততা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষের অাস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। নিজ দায়িত্ব পালনে কখনো অাপষ করেনি। অামি তার সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করছি।

পাঠকের মতামত: