কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে ‘ঢাকার বাড়ি’ কটেজে যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য

কক্সবাজার লাইট হাউজস্থ ‘ঢাকার বাড়ি’ নামে একটি কটেজে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) মাগরিবের দিকে ঘটা মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

মৃত্যুর শিকার বুলু রুদ্র (৪৫) চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মৃত সুদাংশু রুদ্রের ছেলে। তিনি ওই কটেজে কেন অবস্থান করছিলেন বা এসেছিলেন তা জানা যায়নি।

সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে ৫টার দিকে ‘ঢাকার বাড়ি’ কটেজ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় এক যুবককে বের করেন কয়েকজন ব্যক্তি। একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান জানান, বেলা ৫টা ২০ মিনিটের দিকে মাগরিবের আজানের সময় একব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। ঢাকার বাড়ি নামে একটি হোটেল থেকে তাকে আনা হয়েছে বলে তার এক স্বজন জানিয়ে ছিলেন। তবে ওই স্বজনও কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই ব্যক্তির শরীরে কোন ধরনের আঘাত দেখা যায়নি। এছাড়া মৃত্যুর কারণও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশকে জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, কটেজে এক ব্যক্তি অসুস্থবোধ করায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে বলে শুনেছি। কি কারণে তার অকস্মাৎ মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

এদিকে, কটেজে ওই ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরপরই ভাড়াটিয়া ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা সবাই আত্মগোপনে চলে গেছেন।

লাইট হাউজ এলাকার লোকজন জানান, কটেজ জোনের ‘ঢাকার বাড়ি’ কটেজটি অনৈতিক কর্মের আড্ডা হিসেবে পরিচিত। সেখানে নিয়মিত অবাঞ্ছিত নারী ও খদ্দেরের  যাতায়াত থাকে। কটেজটির মালিক রেজাউল করিম রাজু নামে একব্যক্তি। তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কটেজ পরিচালনা করেন আব্বাস, লোকমান, বাবুল ও বশর। তারা নিয়মিত সেখানে অনৈতিক কর্ম চালান। এমনকি তাদের চারজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলাও রয়েছে। জেলও খেটেছেন বহুবার। তারপরও তারা ঢাকার বাড়ি কটেজ ভাড়া নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ কর্মকাণ্ড। মৃত বুলু রুদ্র ফূর্তি করতে এখানে এসেছিলেন এবং অনাকাঙ্খিত ভাবে মৃত্যুর শিকার হয়েছেন বলে ধারণা তাদের।

এ বিষয়ে, কটেজ মালিক রেজাউল করিম বলেন, আব্বাসের সাথে কটেজ বিক্রির বিষয়ে আমার বায়না হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে ওনিই ভালো বলতে পারবেন।

আব্বাস বলেন, কটেজটি আমি লোকমানকে উপ-ভাড়া দিয়েছিলাম। লোকমানসহ কয়েকজনে মিলে কটেজটি পরিচালনা করছে কয়েকমাস ধরে। লোকমানের মোবাইল বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: