কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কার্গোর ধাক্কায় শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি, নারীর মৃতদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। রোববার সন্ধ্যায় মালবাহী একটি কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চডুবিতে এখন পর্যন্ত এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এমভি রাবিতা আল হাসান নামের লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ রুটে চলাচল করে। সন্ধ্যায় এটি নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ) উপ-পরিচালক (বন্দর) মোবারক হোসেন সমকালকে জানান, তাদের কাছে থাকা তথ্যানুযায়ী লঞ্চে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন।

অবশ্য এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর বাবুল মিয়া সমকালকে জানিয়েছিলেন, আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ডুবে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি শাহ জামান রাত ৯টার দিকে সমকালকে জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নদীর তীরে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে লঞ্চটি একপাশে কাত হয়ে ডুবে যায়। ওই সময় কিছু যাত্রী লঞ্চ থেকে বের হয়ে সাতঁরে তীরে ওঠার চেষ্টা করেন। তবে ঝড়ের কারণে নদীর তীর থেকে কেউ ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের সহায়তা করতে যেতে পারেননি।

সাঁতরে তীরে ওঠা লঞ্চের যাত্রী মোহন বেপারী বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে লঞ্চটি নারাযণগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছে আসা মাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়।

নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা সমকালকে জানান, নদীর পূর্ব পাশে ১১ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিম পাশ থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তার সংখ্যা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

পাঠকের মতামত: