কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কালভার্ট নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ!

কালভার্ট নির্মাণে যেখানে রড ব্যবহার করে ঢালাই করতে হয়, সেখানে রডের পরিবর্তে বাঁশের ফালি দিয়েই ঢালাই করার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, দুটি কালভার্টের একটিতে আবার কিছুই ব্যবহার করা হয়নি।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম পাটুলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গুদারবন্দ নামে একটি দুর্গম এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। সেখানে স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) আওতায় নির্মাণাধীন দুটি কালভার্টের একটিতে রডের বদলে বাঁশের ফালি ও আরেকটিকে কিছুই ব্যবহার করা হয়নি।

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলীর তত্ত্বাবধানে একটি কালভার্ট নির্মিত হচ্ছে। শুধু তিনিই নন, একই সড়কে আরেকটি প্রকল্পে একই রকম অনিয়ম করেছেন নারী ইউপি সদস্য রাশিদা বেগম। তবে এ ক্ষেত্রে মোহাম্মদ আলী বাঁশের ফালি ব্যবহার করলেও রাশিদা কোনো কিছু না দিয়েই ঢালাই সম্পন্ন করেছেন!

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে আছিম পাটুলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দুটি প্রকল্পে সাড়ে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২ লাখ টাকা বরাদ্দে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীকে একটি এবং দেড় লাখ টাকা বরাদ্দের একটি প্রকল্পে ইউপি সদস্য রাশিদাকে দায়িত্ব হয়।

তাদের মধ্যে রাশিদার প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। সেখানে রড বা বাঁশ কোনটিই ব্যবহার করা হয়নি। আর মোহাম্মদ আলীর প্রকল্পে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করে শুক্রবার বন্ধের দিন নিচের অংশের ঢালাই শেষ করে।

গতকাল শনিবার এমন দৃশ্যের ছবি তুলে বায়েজিদ আহমেদ নামে স্থানীয় এক যুবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অনেকেই সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় খবর পেয়ে বিকেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ময়মনসিংহের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক একেএম গালিভ খান ও ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিক।

ঘটনাস্থল থেকে ফিরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক একেএম গালিভ খান জানান, পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা পরে জানানো হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সচিব হাজেরা খাতুন বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ চলাকালীন সময় এলজিইডি’র তদারকি কর্মকর্তা ও আমার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তারা নাকি বন্ধের দিন ঢালাই করেছে, যেটা মোটেও ঠিক নয়।

পাঠকের মতামত: