কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

কুড়ানো মাংস বেচে চাল কিনবেন জয়নাল

 

জয়নাল আবেদিন। বয়স ৫৭ বছর। রোববার ঈদুল আজহার সকাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাংস কুড়ানো শুরু করেছিলেন তিনি। এভাবে প্রায় ৭ কেজি মাংস সংগ্রহ করেছেন।

সংগৃহীত মাংস থেকে ২ কেজি ঘরে রেখে বাকি ৫ কেজি ফেনী শহরের রেল স্টেশন এলাকায় নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে।

জয়নাল জানান, ঘরে চাল-ডাল নেই। তাই মাংস বিক্রি করেই এসব কিনে বাড়ি ফিরবেন। রেলস্টেশনের পাশে একটি কলোনিতে গত ৮ বছর ধরে বসবাস করছেন তিনি।

শুধু জয়নাল নন, সরেজমিনে দেখা গেছে- নিম্ন আয়ের বেশ কিছু মানুষ ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাংস কুড়িয়ে এনে শহরের বড় মসজিদের সামনে, রেলগেইট কিংবা মিজান রোড এলাকায় তা বিক্রি করছেন।

স্থানীয় দুলাল তালুকদার জানান, যারা কোরবানি দিতে পারেন না তারা কম দামে এই হাট থেকে মাংস কিনে নেন। ঈদের দিনে মাংস বিক্রি ও কেনার জন্য ফেনীর রেলস্টেশনের পাশে জমজমাট মাংসের বাজার বসে।

এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। রোববার বিকাল থেকেই ছিন্নমূল ও দরিদ্র লোকজন ফেনীর বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করে তা এই বাজারে নিয়ে এসেছেন। যারা কোরবানি দিতে পারেনি তারা এবং কিছু হোটেল ব্যবসায়ী এই মাংস কিনে নিচ্ছেন।

এদিকে হাটে মাংস বিক্রি করতে আসা জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা সারাদিন অনেক কষ্ট করে মাংস খুঁজে এনে যখন হাটে বিক্রি করি, তখন কিছু লোক আমাদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে যায়। গরিব মানুষের কাছ থেকে যারা টাকা নিয়ে যায়, তারা আমাদের থেকেও মিসকিন। আল্লাহ তাদের বিচার করবে।’

ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পরপরই পশু কোরবানির পর্ব শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুপুর দেড়টা-দুইটার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় মাংস কাটা আর ভাগ-বন্টন। এরপর চলে গরিবদের মধ্যে মাংস বিলি।

বিলিয়ে দেয়া মাংস সংগ্রহ করে কিছু অংশ নিজেদের জন্য রেখে একটি শ্রেণি বাদবাকি মাংস বিক্রি করে দেন।

পাঠকের মতামত: