কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

খুরুশকুলে তরুণকে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২

কক্সবাজারে এক তরুণীকে ঘিরে এক তরুণকে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় পলাতক অপরজনকে ধরার চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে মারধরের শিকার তরুণ আব্দুল মোনাফ বলেন, আমার বোন মামার বাড়ি গিয়েছিল, ওইদিন আমি তাকে আনতে যাই। ফেরার পথে কিছু ছেলে পেছন থেকে বোনকে উদ্দেশ্য করে অনেক খারাপ খারাপ কথা বলা শুরু করে। তখন আমি ওদের বারণ করে বলি, মা-বোন সবার আছে, এরকম আচরণ উচিত নয়। এরপর একটা ছেলে এসে আমার বোনের হাত ধরে টান দেয়। তখন আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে প্রচন্ড মারধর করে। আমার বোনকেও মেরেছে। এসময় এলাকার একজন মুরুব্বী ছেলেগুলোকে নিষেধ করলে তারা তাকেও ছুরির ভয় দেখায়। আমাকে মারতে মারতে মাটিতে শুইয়ে ফেলে। তারপরও ক্ষান্ত হয়না।

তরুণী বলেন, ‘তারা আমাকে উত্যক্ত করছিল বারবার। এসময় ভাইকে মারধর করলে আমি তাদের বারণ করি, আটকানোর চেষ্টা করি।’
আটকরা হলেন, খুরুশকুলের মনুপাড়া এলাকার সুরত আলমের ছেলে রায়হান (২০) ও কুলিয়াপাড়া এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে মো. আরমান (২০)
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নেয়া ভিডিওতে দেখা যায় বোরকা পরিহিত এক তরুণীকে ঘিরে এক তরুণকে মারধর করছেন অপর ৩ যুবক। ভিডিওটি ভাইরাল হয় শনিবার সন্ধ্যায়। যদিও এ মারধরের ঘটনাটি ৩১ মে’র। মারধরের শিকার তরুন-তরুণীর দাবী তারা ভাই-বোন। ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ করায় আরমান, রায়হান ও জামাল এ মারধর করেন।

তরুণীর মা বলেন, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। অপরাধীদের শাস্তি চাই।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর-উল গিয়াস বলেন, ঘটনাটি নজরে আসার পরেই আমরা তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান শুরু করি। একাধিক টিমের মাধ্যমে খুরুশকুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। একজন পলাতক রয়েছে। আমরা তাকেও ধরতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।  এ ঘটনায় মা বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন।

পাঠকের মতামত: