কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

গাইবান্ধায় ঝড়ের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭

গাইবান্ধা জেলা সদরসহ সাত উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে ও আতঙ্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে।

রোববার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে যাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে ৫ বছরের শিশু রয়েছে। নিহত ওই শিশুর নাম মনির মিয়া। এছাড়া মারা গেছেন অটোরিকশা চালাক হারেজ উদ্দিন।

হারেজের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশা নিয়ে হারেজ গাইবান্ধা থেকে বালাসিঘাট যাচ্ছিলেন। তার গাড়িতে কোনো যাত্রী ছিল না। ভাসারপাড়া এলাকায় ঝড়ে গাড়ি উল্টে চাপা পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। হারেজের বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলায়।

শিশু মনিরের স্বজনরা জানান, তিন গাছ তলা এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় খেলছিল মনির। ঝড়ে ডাল ভেঙ্গে মাথায় পড়লে গুরুতর আহত হয় সে। সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে ঝড়ে আরও ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ময়না বেগম, পলাশবাড়ীর আবদুল গাফফার মিয়া, জাহানারা বেগম ও ফুলছড়ির শিমুলী আকতার। আতঙ্কে মারা গেছেন সাদুল্লাপুরে আবদুস সালাম সর্দার নামে এক ব্যবসায়ী।

জেলা সদর ছাড়া বাকি ছয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক মানুষ গাছচাপা পড়ে ও স্থাপনার নিচে পড়ে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রিশ জনের বেশি আহত নারী-পুরুষ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে আহত অনেককেই।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া ও মোস্তফাপুর, ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামে ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এ কালবৈশাখী ঝড়ে বড় বড় গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুটি, শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, ‘প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা কাজ করছেন।’

এ ছাড়া ঝড়ের কারণে জেলায় বোরো ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

পাঠকের মতামত: