কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত

২০২০ এর শেষের কয়টি দিন শীতের তীব্রতার সঙ্গে ঘন কুয়াশার আস্তরণ থাকলেও ২০২১ এর শুরুর এক সপ্তাহের মতো তেমন শীত বা কুয়াশা উপলব্ধি হয়নি। তবে গত দু’দিন থেকে শীত তীব্রভাবে জেঁকে বসেছে শহর থেকে গ্রামে।

আর কুয়াশায় স্থবির হয়ে গেছে চারদিক।
এই কুয়াশার প্রচণ্ড প্রভাব পড়েছে সাভার ও আশুলিয়ার মহাসড়কগুলোতে।

ঘন কুয়াশায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাচ্ছে চালকরা।

দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপেল ত্রীমোড় দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়ক আচ্ছন্ন থাকায় পরিবহনগুলো হেডলাইট দিয়ে চলাচল করছে।

সেইসঙ্গে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে পরিবহনগুলোকে। ফলে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে দুর্ভোগে রয়েছেন খেটে খাওয়া, দিনমজুর, দরিদ্র মানুষেরা। সকাল সকাল শীত উপেক্ষা করেই কাপতে কাপতে পোশাক শ্রমিকরা হেঁটে অথবা বাসে করেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের চালক আতাউর বাংলানিউজকে বলেন, কুয়াশায় ১০-১৫ ফুট দূরের কিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে বাস চালাতে হচ্ছে।

রাজশাহী থেকে মাছ নিয়ে আসা ট্রাক চালক বিলাশ বাংলানিউজকে বলেন, কুয়াশায় গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। ভোর থেকেই মির্জাপুর থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হয়েছে। এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা।

এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, অন্য কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার কুয়াশার তীব্রতা অনেকটাই বেশি। সড়কে পরিবহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। তবে আমরা সড়কে রয়েছি। দুর্ঘটনা এড়াতে সাবধানে ও ধীরে গাড়ি চালানোর জন্য সব পরিবহন চালককে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি।

পাঠকের মতামত: