কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় অলিগলিতে কিশোর গ্যাং, হেনস্তার শিকার ছাত্রী ও নারীরা

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরের বিভিন্ন শপিংমলে কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা অবদি এদের আনাগোনা বেশি থাকে। চকরিয়া পৌর শহরের আনোয়ার শপিং সেন্টার, সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, ওয়েস্টার্ন প্লাজা, রুপজাহান প্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেটের অলিগলিতে দাঁড়িয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আড্ডা দিতে দেখা যায়।

মার্কেটের দোকানদাররা জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে তিন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী মার্কেটে ঢোকে। এদের পেছনে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য পিছু নেয়। ওই স্কুল ছাত্রীরা তাদের কাছ থেকে বাঁচতে ছোটাছুটি করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা একটি দোকানে বাজার করতে যায়।

কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাও ওই দোকানে ভিড় করে। এতে ওই ছাত্রীরা ভীত হয়ে পড়েন। এভাবে প্রতিদিন কোনো না কোনোভাবে স্কুল ছাত্রী ও সাধারণ নারী তাদের কাছে হেনস্তার শিকার হয়। ভয়ে তাদের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেটের কোনায় ও অলিগলিতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকে প্রায় সময়। কোনো স্কুল ছাত্রী ও নারীরা মার্কেটিং করতে আসলে তাদের পিছু নেয়। এমনিক অশালীন মন্তব্যও করা হয় ওই নারীদের প্রতি। সুযোগ পেলে তাদের ব্যাগ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ওই কিশোর গ্যাংয়ের এলাকাভেদে বড় ভাই রয়েছে।

কোনো সমস্যা হলে বড় ভাই এসব সমাধান করেন। এমনকি অনেক বড় ভাই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানায় কোনো কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা না থাকায় তাদের ধরা যাচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন সহায়তা করলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।
বিডি প্রতিদিন

পাঠকের মতামত: