কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মা-মেয়েকে রশি বেঁধে নির্যাতন

চকরিয়ায় সেই চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় মা-মেয়েকে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার চকরিয়ার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

জানা গেছে, আদালতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্তে আটজনের বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
চকরিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালতের বিচারক আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট দুপুরে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা, মেয়ে ও ছেলেসহ পাঁচজনকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত।

পরে তাদের রাস্তায় ঘুরিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গেলে দ্বিতীয় দফায় পেটায় চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম। কিন্তু মা-মেয়েকে নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয় পুরো দেশজুড়ে।
এ ঘটনায় চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত দেওয়া হয় চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পলিশ সুপার কাজী মতিউল ইসলামকে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

পাঠকের মতামত: