কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভা ‘রেড জোন’ ঘোষণা, ১৪ দিনের লকডাউন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রেড জোন, ইয়োলো জোন ও গ্রিন জোন করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা ও একটি ইউনিয়নের আংশিক এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন।

রেড জোন ঘোষণার ফলে আগামীকাল রোববার বিকেল ৪টা থেকে ২১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে চকরিয়া পৌরসভা ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডকে।

গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় চকরিয়া উপজেলা মিলনায়তন মোহনায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম।

এতে আরও বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মেজর মোহাম্মদ জোবায়ের, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেযারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো.মতিউল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,  ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ‘সম্প্রতি চকরিয়া পৌসভা ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৮নং ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। যার কারণে চকরিয়া পৌরসভা ও ডুলাহাজারার তিনটি ওয়ার্ড লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘রোববার বিকেল ৪টার পর থেকে আগামী ২১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করা হবে। এ জন্য আমরা কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রোববার বিকেল ৪টার পর থেকে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র সপ্তাহের চারদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার, শনিবার, সোমবার ও বুধবার মুদির দোকান ও কাঁচাবাজার খোলা রাখা যাবে। তবে ওষুধের দোকান বন্ধের আওতা মুক্ত থাকবে।

ইউএনও বলেন, ‘সবধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি ও  গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অনুমতি সাপেক্ষে জরুরি সেবার গাড়িগুলো চলতে পারবে। তবে পণ্যবাহী গাড়ির মালামাল লোড-আনলোড রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। দিনের বেলায় কোনো ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারবে না। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘লকডাউন চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারবে না। যারা এই আদেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এই পর্যন্ত ১৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১৯ জন। মারা গেছে দুইজন। বাকিরা চিকিৎসাধীন। তবে ২৪ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত কয়েকশত করোনা পরীক্ষার ফল আসেনি। ওইসব ফলাফল আসলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: