কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রামে আলোচনায় দুই ‘লেডি গ্যাং’

কিশোর গ্যাং নয়, এবার চট্টগ্রামে তুমুল আলোচনায় দুই ‘লেডি গ্যাংয়ের’ মারামারি। লেডি গ্যাংয়ের সিমি গ্রুপ অধরা গ্রুপের অধরাকে দিন দুপুরে তার বাসায় গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরপরই আলোচনায় ওঠে আসে দুই ‘লেডি গ্যা।’

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। যার প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে সিমি গ্রুপের লেডি কুইন সিমরান সিমি (১৮) আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লাইভ ভিডিওতে এসে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

তিনি লেডি কুইন অধরা আহমেদকে (২২) বাড়িতে গিয়ে মারধরের কথা স্বীকার করে নিলেও এই ঘটনায় দু’পক্ষের দায় আছে জানিয়ে মিডিয়া ও প্রশাসনকে একতরফা বিচার না করার অনুরোধ জানান। সিমি বলেন, মেয়ে-মেয়ে এমন মারামারির ঘটনা কোন ব্যাপার না। তবে কারও দোষ না থাকলে কেউ কাউকে এভাবে পেটায় না। ও বলছে হ্যাডাম থাকলে আসিস। ইভেন আমাদেরকে প্রাণে মারার থ্রেটও দিছে।
বলা হইছে, ৫ হাজার টাকা দিলে আমাদেরকে দুনিয়া থেকে তুলে দেবে।

সিমি বলেন, এই ঘটনায় পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমি মানসিক চাপে আছি। আপনারা অনেক মজা নিচ্ছেন, বাট রিয়েল ঘটনা কী আপনারা আসলে জানেনই না। আমি একটা পিক আপলোড করছি। সেখানে সে খারাপ কমেন্ট করছে। যার কারণে বাধ্য হয়ে আমাকে যেতে হইছে।

এছাড়া অধরার ঘরের সামনে যে মারামারির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তার আগে ওই বাসার গলির সামনে অধরা তার গ্রুপের কয়েকজনকে নিয়ে আমার এক বান্ধবীকে পিটিয়েছে।

অধরা নিজেকে এখন যেভাবে অসহায় দাবি করছে তার যৌক্তিকতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে সিমি বলেন, ও আজকে অসহায় সাজছে। কেন ও তো সব সময় হ্যাডাম দেখায়। আমার এই আছে, আমার সেই আছে। আমার কথা হচ্ছে আমার লেভেল যতটুকু আমি ততটুকুতে থাকবো। আমি কেন ওপরের মানুষের সাথে পাঙ্গা নিতে যাব?

নিজেকে স্থানীয় উল্লেখ করে সিমি বলেন, অধরা আউট ডিস্ট্রিক্টের মেয়ে। হ্যাঁ, আমার দোষ ছিল, প্লাস ওরও দোষ ছিল। দু’জনেরই দোষ ছিল। ও একলা মাইর খায় নাই। আমি যখন ওকে মারছি, তখন ও আমার চুল ধরে মারামারি করছে। প্রশাসন আর মিডিয়ার কাছে আমার অনুরোধ একতরফা যেন বিচার না হয়।

সিমি বলেন, আমরা মারপিট করেছি। ওর কাছে সেই ভিডিও আছে। আর কোন প্রমাণ নাই। আমরা তো আর অবৈধ কোন কাজে ধরা পড়ি নাই, যার কারণে আমাদের মানসম্মান ইয়ে হবে। মেয়ে-মেয়ে বাজাবাজি হতেই পারে। ডাজ নট এ ম্যাটার। কিন্তু এটা নিয়ে এত মাতামাতি ও আলোচনা-সমালেচনার কি আছে?

সিমি আরও বলেন, আমি এই মাত্র ইপিজেড থানা থেকে আসছি। থানায় ওর মামলা নেয়া হয় নাই। কারণ থানায় বলা হইছে যে, মেয়ে-মেয়ে মারপিট করছে এখানে আমরা কিছু করতে পারবো না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া বলেন, দুই ‘লেডি গ্যাং’এর মারামারির কথা জেনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ দিলে অবশ্যই নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার কসাই গলিতে লেডি কুইন অধরাকে কয়েকজন কিশোরী মারধর করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। জানা যায়, অনলাইনে কিশোর গ্যাং কালচারের বিরোধের জের ধরে অধরাকে তার বাসায় ঢুকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

মারধরের শিকার লেডি কুইন অধরা অভিযোগ করেন, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শাখাওয়াত নামের এক কিশোরের ইন্ধনে লেডি কুইন সিমরান সিমি গ্রুপের কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়।

পাঠকের মতামত: