উখিয়া-টেকনাফ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নোয়াখালীর ভাসানচর যেতে চতুর্থ দফায় অন্তত সহস্রাধিক রোহিঙ্গা ৩০টি বাসে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা হয়েছে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তাদের বহনকারি এসব বাস রওনা দেয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারা জানিয়েছে, কলেজটির ওই মাঠে আরো বেশ কয়েকটি বাস অবস্থান করছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে।
এ দফায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নেয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে, এ যাত্রায় রওনা হওয়া বাসগুলোতে অন্তত সহস্রাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অন্তত ৩ সহস্রাধিক রোহিঙ্গা চতুর্থ দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী। রোববার তাদেরই বাস যোগে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোহিঙ্গাদের বহনকারি বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব ও পুলিশ সদস্যদের কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
এর আগে প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে এক হাজার ৬৪২ জন, দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জন এবং তৃতীয় দফায় গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তিন হাজার ২০০ জনের বেশী রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য শনিবার রাতেই উখিয়া ডিগ্রি কলেজ এবং কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো করা হয় অন্তত ৫০ টির বেশী বাস।
উখিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক ইমতিয়াজ নুর নিশান বলেন, রোববার দুপুর দেড়টায় প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের বহনকারি ৩০টি বাস উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ছেড়ে যেতে দেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আরো অন্তত ২০/৩০ টি বাস অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। সেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: