কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চলছে গণপরিবহন, স্বস্তিতে কর্মজীবী মানুষ

১৯ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের পরে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে আবারও চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। আসন সংখ্যা সমান হলেও অর্ধেক গণপরিবহন চলছে। তবে গণপরিবহন চলাচলের কারণে স্বস্তি ফিরেছে কর্মজীবী মানুষের মধ‌্যে।

বুধবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর ১, ২ ও ১০ নম্বর, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, গাবতলী এলাকা ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।

মিরপুর ১ নম্বর থেকে মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গত কয়েক দিন অফিসে যেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। আমার অফিস কারওয়ান বাজার। বাসে গেলে লাগতো মাত্র ২০ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু গণপরিবহন চলাচল না করার কারণে সেখানে রিকশায় দেড়শ থেকে দুইশ টাকার মতো ভাড়া দিতে হয়েছে। যাওয়া-আসাতে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মতো প্রতিদিন খরচ হতো। কিন্তু গণপরিবহন চলার কারণে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা রোধ সরকার কিছু দিন পর পর যে লকডাউনের ঘোষণা দেয় এটা ঠিক আছে। কিন্তু শুধু লকডাউন দিলেই হবে না, এটা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তবে আমরা সাধারণ মানুষ আসলে নিয়ম মানতে চাই না। লকডাউন দিলে সবই বন্ধ রাখা উচিত। তা না হলে অফিস খোলা রেখে লকডাউন দিলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’

রাজধানীর গাবতলী থেকে সায়দাবাদ যাবেন মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে। খুব স্বস্তি লাগছে। কারণ এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়াটা সহজ হবে। ভাড়াও কম লাগবে। আমি এখানে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি বাসের জন্য। গণপরিবহন চলাচল করলেও সেটা খুব কম। এ কারণে বাস পেতে সময় লাগছে।’

মিরপুর থেকে প্রজাপতি পরিবহনের বাসচালক বলেন, ‘গণপরিবহন চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। লকডাউনের কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে দিনযাপন করেছি আমরা। খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। আমরা চাই না, আবারও গণপরিবহন বন্ধ হোক। তাই আমরা সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন করতে চাই। অতিরিক্ত কোনো যাত্রী আমরা নেব না। কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যাত্রা করতে পারবে না।’

সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ শিথিলের পর বুধবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলতে শুরু করে। এর আগে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করলে সবশেষ ২২ জুলাই সড়কে গণপরিবহন চলেছিল।

এর আগে গত রোববার (৮ আগস্ট) বিধিনিষেধ শিথিলের প্রজ্ঞাপনে সরকার জানায়, গণপরিবহনের শতভাগ আসনে যাত্রী বহন করা যাবে। তবে মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক গাড়ি সড়কে নামানো যাবে।

পাঠকের মতামত: