কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চাঁদ দেখা গেছে, ঈদে মিলাদুন্নবী ৩০ অক্টোবর

দেশের আকাশে হিজরি ১৪৪২ সালের রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। স্বাস্থবিধি মেনে প্রতিবছরের মতো এবারও ৩০ অক্টোবর সারাদেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনলাইন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

সভায় জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচী প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোষ্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়া পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) রাতে সরকারি ভবনগুলো ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো আলোক সজ্জা করা হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে এবং হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর উপর আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচী নেয়া হবে।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে।

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশন যথাযথভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ২৯ আগস্ট, রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার, সূর্যোদ্বয়ের ঠিক পূর্বমুহূর্তে, সুবহে সাদিকের সময় মহাকালের এক মহাক্রান্তিলগ্নে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

আবার তেষট্টি বছরের এক মহান আদর্শিক জীবন অতিবাহিত করে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ৮ জুন, ১১ হিজরি রবিউল আউওয়াল মাসের ১২ তারিখ একই দিনে তিনি পরলোক গমন করেন।

দিনটি মুসলিম সমাজে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে সমধিক পরিচিত। ঈদ, মিলাদ আর নবী তিনটি শব্দ যোগে দিবসটির নামকরণ হয়েছে। ঈদ অর্থ-আনন্দোৎসব, মিলাদ অর্থ-জন্মদিন আর নবী অর্থ নবী বা ঐশী বার্তাবাহক।

পাঠকের মতামত: