কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জাপানকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করার আহ্বান

জাপানকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাপানের শক্ত সমর্থন চেয়েছেন।

রোববার (২৫ অক্টোবর) জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে এলে তিনি আহ্বান জানান।

এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে জাপানের সম্পর্কে ভালো, এর সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়কৃত ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্য তার দেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

জবাবে রাষ্ট্রদূত জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোতেগির সাম্প্রতিক মিয়ানমার সফরকে উল্লেখ করেন। যেখানে তিনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে তার সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি জাপানি উদ্যোক্তাদের আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) এবং গাজীপুরে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ড. মোমেন জাপানিজ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উচ্চ করপোরেট লাভজনকতা, ব্যবসায়-বান্ধব নীতিমালা, বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং বিশ্বজুড়ে মূল বাজারগুলোতে কৌশলগত অ্যাক্সেসের সুযোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো গন্তব্য হিসেবে অভিহিত করেন এবং দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সহযোগিতার স্তর আরও উন্নত করার প্রত্যাশা করেন। রাষ্ট্রদূত নবনির্বাচিত জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদ সুগারকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠির কথা উল্লেখ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য জাপানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত উভয়ই বিদ্যমান দুর্দান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম বার্ষিকী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে সম্মত হন। ড. মোমেন কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাপান সরকারকে তাদের সহায়তার জন্যও ধন্যবাদ জানান।

পাঠকের মতামত: