কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

জিনগত বৈশিষ্ট্য: করোনায় বেশি ঝুঁকিতে দক্ষিণ এশীয়রা

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মানবদেহের একটি বিশেষ ‘জিন’ চিহ্নিত করার কথা। তারা বলছেন, এটি ‘ফুসফুসকে অকার্যকর’ করা এবং কভিড-১৯-এ ‘মৃত্যুঝুঁকি’ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার ৬০ শতাংশ এবং ইউরোপীয় অঞ্চলের ১৫ শতাংশ মানুষ এই জিনটি বহন করছে। টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।

দ্য নেচার জেনেটিকসের এই গবেষণা দক্ষিণ এশিয়া ও যুক্তরাজ্যের কিছু জনগোষ্ঠী কেন করোনার উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে—সে সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করেছে। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা মেলেনি।

গবেষকরা জিন সংক্রান্ত আগের গবেষণা পর্যালোচনা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই জিনটিকে চিহ্নিত করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে এলজেডটিএফএর১।

এদিকে, পাকিস্তানে গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫১৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণবিষয়ক জাতীয় কমান্ড ও অপারেশন সেন্টারের (এনসিওসি) পরিসংখ্যানের তথ্যের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করে। মোট ৪৪ হাজার ১৪৮টি নমুনা পরীক্ষার পর এসব রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছে ১১ জন। পাকিস্তানে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।

ফাইজারের উদ্ভাবিত মুখে খাওয়ার ওষুধ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা খারাপ হওয়ার ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করে। গত শুক্রবার ফাইজার কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ট্রায়ালে দেখা যায়, ভাইরাস প্রতিরোধী বড়ি হাসপাতালে যাওয়ার ঝুঁকি ও প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস করে।

পাঠকের মতামত: