কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জেটিতে আনা হল হেলে পড়া জাহাজ, রক্ষা পেল ৮০০ কোটি টাকার পণ্য

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ডুবতে বসা ভিয়েতনামের পতাকাবাহী এমভি হাইয়ান সিটি নামে জাহাজটিকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার (৪ মে) ছয়টি বিশেষ জলযানের সহযোগিতায় বেসরকারি কর্ণফুলী ড্রাই ডক জেটিতে ভেড়ানো হয় দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটি। এতে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার রপ্তানি পণ্যও রক্ষা পেয়েছে। আবার জাহাজটি ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় বন্দরের জলসীমাও নিরাপদ হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দরের সচিব ওমর ফারুক।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছিল জাহাজটি। যাত্রাপথে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার কাছে একটি তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এমভি হাইয়ান সিটি জাহাজটির। এতে একটি খালি কনটেইনার জাহাজ থেকে সাগরে পড়ে যায়। জাহাজটির পেছনের অংশ ফুটো হয়ে পানি ঢুকে প্রায় সাত ডিগ্রি কাত হয়ে পড়ে। দুমড়েমুচড়ে যায় জাহাজটির এক পাশে থাকা কনটেইনার।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি মেরামতের জন্য বোঝাই করা কন্টেইনার খালাস করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় জাহাজটিকে উদ্ধার করতে ঈদের ছুটি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে বন্দরের কর্মকর্তা, জাহাজের মালিক প্রতিনিধি, স্থানীয় এজেন্ট, সেলভেজ সংস্থা, পিঅ্যান্ডআই, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান সমন্বয় সভা আহ্বান করেন। পরে জাহাজটিকে বার্থিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, জাহাজটি উদ্ধার করায় ৮০০ কোটি টাকার মূল্যের রপ্তানি পণ্য যেমন রক্ষা পেয়েছে, তেমনি জাহাজ ডুবে গেলে স্বাভাবিক নৌচলাচলে যে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতো, তা থেকে বন্দর রক্ষা পেয়েছে। রপ্তানিকারকেরাও আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এ ধরনের উদ্ধার কার্যক্রম আগে ঘটেনি। বন্দর জেটিতে এত ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজ ভেড়ানোর সুযোগ নেই। সে জন্য বেছে নেওয়া হয় কর্ণফুলী ড্রাই ডক জেটি। জাহাজটি ভেড়ানোর জন্য ওই জেটির সামনে খননকাজ করে গভীরতা বাড়ানো হয়। বুধবার বন্দরের চারটি ও প্রান্তিক বেঙ্গল সার্ভিসের দুটি সাহায্যকারী জলযানের সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা জাহাজটি কর্ণফুলী ড্রাই ডক জেটিতে ভেড়ানো হয়।

পাঠকের মতামত: