কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জেলায় জুনেই বাড়ি পাচ্ছে ১২৫২ পরিবার

কক্সবাজারে মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৩য় দফায় বরাদ্দ হয়েছে ১২৫২টি বাড়ি। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সারাদেশের সাথে কক্সবাজারের অসহায় পরিবার পাবে এ বাড়ি। আগামি জুন মাসের মধ্যে উক্ত ১২৫২টি বাড়ি নির্মাণ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ। ইতোমধ্যে বাড়ি নির্মানের কাজ যথাযতভাবে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন উপজেলায় কাজের অগ্রগতি তদারকি করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নিবার্হী র্কমকর্তাগণ মাঠে নেমেছেন। যাদের ভূমি ও নাই গৃহ ও নাই তাদের জন্য দলিলসহ বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে এ বাড়ি প্রদান করা হবে। জুনের মধ্যে দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আমিন আল পারভেজ জানান, ২ মাস আগে থেকে বাড়ি নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে কাজ ৫২ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৮ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের দ্রæত কাজ শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাড়ি নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিষয়ে উক্ত কর্মকর্তা বলেন ইতোমধ্যে সদর , টেকনাফ, উখিয়া, রামুসহ সব উপজেলায় র্নিমানাধীন বাড়ি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। কাজের মান সন্তোষজনক বলা যায়। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত অগ্রাধিকার প্রকল্প যেহেতু অসহায়দের সহায় হবে বাড়িসমুহ। প্রতিটি বাড়ির জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন কমিটির সার্বিক তত্বাবধানে ১২৫২টি বাড়ি নির্মান করা হচ্ছে ফলে অনিয়মের সুযোগ নেই।
জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা সুত্রে জানা যায়, প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। উপজেলা ভিত্তিক বাড়ি নির্মাণ ও কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন হলো কক্সবাজার সদরে ২২০ টি। কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪০.১৩ শতাংশ, চকরিয়ায় নির্মিত হচ্ছে ২৫০টি বাড়ি । কাজে অগ্রগতি ৫৯.১০ শতাংশ, পেকুয়ায় ৪৩ টি বাড়ি। কাজের অগ্রগতি ৬০.১১ শতাংশ। রামুতে ৪০০টি বাড়ি। কাজের অগ্রগতি ৩২.৫১ শতাংশ। মহেশখালীতে ৩৫টি বাড়ির কাজের অগ্রগতি ৩২.৫১ শতাংশ। উখিয়ায় ২৪৫টির কাজের অগ্রগতি ২৯.৭৩ শতাংশ। টেকনাফে ৪০টি বাড়ির কাজের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ। কুতুবদিয়ায় ১৯টি বাড়ির নির্মান কাজের অগ্রগতি ৪১.৫৭ শতাংশ। গড়ে পুরো জেলায় নির্মান কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫২.৯৫ শতাংশ। আগামি জুনের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

 

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি ২ শতাংশ পরিমান জমির মালিক, জমি পাওয়া সাপেক্ষে হিজড়া, বেদে, বাউল ,আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, গৃহহীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে গৃহহীন, বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা, প্রতিবন্ধী এবং পরিবারে উর্পাজনক্ষম লোক নেই এমন লোককে উক্ত বাড়ি দেওয়া হচ্ছে যা তালিকায় প্রতীয়মান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে অনেক অসহায় পরিবার মাথাগুজার ঠাঁই পাবে।

পাঠকের মতামত: