কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেয়া হল তামিমকে

ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি থেকে তামিমের কাছে প্রস্তাব গেছে। বোর্ডের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে দলনেতা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার নেতৃত্বে ঘাটতির কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি দলটিকে আগলে রাখার জন্য। দলের কাছ থেকে ভালো খেলা আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। হয়তো আমার নেতৃত্বে কিছু ঘাটতি ছিল।’

বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর বাংলাদেশের অধিনায়ক প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন। এক বছরের মধ্যে আরেকটি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো কিছু করতে হলে খোলস পাল্টে দলকে নতুন করে গড়ে তোলা উচিত কি না—এমন প্রশ্নও ছুটে গেছে মাহমুদউল্লাহর দিকে। সরাসরি জিজ্ঞেস করা হয়েছে, অধিনায়কত্ব করতে আগ্রহী কি না? এমন বাউন্সারে ডাক করে বোর্ডের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন।

এক পরিচালক সরাসরি বলেছেন, ‘সীমিত পরিসরের ক্রিকেটের দায়িত্ব একজনের কাঁধে থাকা ভালো। সে নিজের মতো করে দুই ফরম্যাটের জন্য দল তৈরি করতে পারবে।’

অধিনায়কত্ব তামিমের জন্য নতুন না। দেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দায়িত্ব ছাড়ার পর তামিমের কাঁধে আসে নেতৃত্বের ভার। মাশরাফি দায়িত্ব ছাড়ার পর ১২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ৮টি জয় এনে দিয়েছেন তামিম। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তার নেতৃত্বে ২০২৩ বিশ্বকাপও খেলতে পারে বাংলাদেশ। দীর্ঘ মেয়াদে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পাশাপাশি তাকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তবে আসন্ন পাকিস্তান সিরিজে মাহমুদউল্লাহই অধিনায়ক থাকবেন। বোর্ডের ইচ্ছা নতুন বছরে নতুন অধিনায়ক দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু করা। বোর্ডের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের পর তামিম নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি। তবে সীমিত পরিসরে একটি ফরম্যাটে যেহেতু অধিনায়কত্ব করছেন আরেকটি দায়িত্ব পালনে সমস্যা থাকার কথা নয়।

বাংলাদেশের হয়ে তামিম সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের মার্চে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর বাংলাদেশ ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেললেও নানা কারণে তামিম ছিলেন না। অনুশীলনের ঘাটতি এবং অনান্য পারিপার্শ্বিকতা মিলিয়ে এবার বিশ্বকাপ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে ভেতরের খবর ভিন্ন। বিশ্বকাপে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তামিমকে চাননি। মাহমুদউল্লাহও ছিলেন নীরব। লিটন ও নাঈমের ওপর আস্থা রেখেছিলেন তারা। কোচ ও অধিনায়কের নেতিবাচক মনোভাব জানার পর তামিম নিজেকে গুটিয়ে নেন।

পাঠকের মতামত: