কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফের ইউএনও’র গালিগালাজ মাস্তানের ভাষার চেয়েও খারাপ : হাইকোর্ট

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরুর করার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৪ জুলাই) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে এ উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট জানায়, ইউএনও কায়সার খসরুর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। একজন ‘রং হেডেড’ মানুষ শুধু এরকম গালিগালাজ করতে পারে। ইউএনও যে ভাষা ব্যবহার করেছে তা মাস্তানের ভাষার চেয়েও খারাপ। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ‘নিচু জায়গায় নির্মাণ করা উপহারের ঘর পানিতে ভাসছে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা হোয়াব্রাং এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবগুলো নতুন ঘর পানিতে ভাসছে। ফলে সেখানে থাকা ২৭টি পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপহারের ঘরগুলো এমন নিচু জায়গায় করা নিয়ে স্থানীয় লোকজন শুরু থেকেই আপত্তি তুলেছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, ঘর তৈরিতে মাটির নিচে ইট ব্যবহার করা হয়নি। এ ছাড়া নিম্নমানের ইট, বালি-রড, কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য তারা দায়ী করেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন, বন্যা যখন আসছে মুজিববর্ষের ঘরগুলো চেনেনি হয়তোবা ও আশপাশের ঘরগুলো দেখেনি শুধু দেখেছে মুজিববর্ষের ঘরগুলো। একটা চোর, আরেকটা সাংবাদিক, হলুদ সাংবাদিক ও ইয়াবার সঙ্গে জড়িত এমন সাংবাদিক আমাদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। এগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা। এই বলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করেন।

প্রকাশিত সংবাদে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরায় সাংবাদিক সাইদুল ফরহারে ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য গালিগালাজ করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরু।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তার অফিশিয়াল নম্বর থেকে কল করেন সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে। এ কলের অডিও রেকর্ড রয়েছে তার কাছে।

পাঠকের মতামত: