কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে কামারিদের কর্ম ব্যস্ততা

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নড়েচড়ে বসেছেন কামার’রা। সারা বছর অলস সময় পার করলেও কোরবানীর ঈদে বেশ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারির দোকানিতে।

কেউ আসছেন কোরবানী করার অন্যতম অনুসঙ্গ ধারালো ছুরি, দা, বটি, হাসুয়াসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করতে। আবার কেউবা আসছেন এসব সরঞ্জাম সান দিতে।

বছরের অন্য সময়ে দিনে ৫-৬শ’ টাকা আয় হলেও এ সময়ে প্রতিদিন আয় হচ্ছে কয়েক হাজার টাকা। চলমান লকডাউনে হাট বাজার বন্ধ থাকায় কামারদের উপর এবার বেশি চাপ পড়েছে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। দিনরাত সমান তালে লোহার টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে পৌর শহরসহ ইউনিয়নের প্রতিটি কামার ঘরে।

টেকনাফ পৌরসভার লেঙ্গুরবিল সড়কের কামারশালার রনজিত কামার জানান, গত বছরের চেয়ে এবার নতুন সরঞ্জাম তৈরির সংখ্যা বেশি। ছোট ছুরি ২শ’ ৫০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা, বড় ছুরি ৫শ’ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা, মাংস কাটার দা ২ হাজার টাকা দরে বানানো হচ্ছে।

এছাড়াও পুরানো বটি, ছোট ছুরি ৬০ টাকা, দা ও ছুরি ১৫০ টাকা করে সান দেয়ার খরচ নেয়া হচ্ছে। নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।

যে পরিমাণ অর্ডার নেওয়া হয়েছে তাতে ঈদের আগের দিন বিকেল পর্যন্ত কাজ করা লাগবে।
মাংস কাটার দা ও ছুরি বানাতে আসা বশির নামের এক ক্রেতা জানান, ‘লকডাউন চলাকালে দোকান বন্ধ থাকায় গত বছর যে দা বানানো খরচ হতো ১ হাজার সেটা বানাতে এখন খরচ হচ্ছে ২ হাজার। ‘

পাঠকের মতামত: