কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টেকনাফে বন্যহাতির আক্রমণে মারা গেল রোহিঙ্গা নারী

কক্সবাজারের টেকনাফে ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে বন্যহাতির আক্রমণে রাশিদা বেগম (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) ভোররাতে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন আর্মড পুলিশ সদস্যরা। ওই নারী টেকনাফের নতুন লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত মমতাজের মেয়ে।

এ নিয়ে গত তিন বছরে হাতির আক্রমণে ১৪ জন রোহিঙ্গাসহ ২২ জনেরও অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ভোর রাতে ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে বন্যহাতির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।’

টেকনাফ নতুন লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পাহাড়ে বাগানে কাজ করতে যাওয়া ক্যাম্পের এক নারী বন্যহাতির আক্রমণে মারা গেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় একদল বন্য হাতি প্রবেশ করে। এ সময় বন্যহাতির দল দেখে লোকজন পালাতে থাকে। এতে বন্যহাতির আক্রমনে ঘটনাস্থলে মারা যায় এক রোহিঙ্গা নারী।পুলিশের অনুমতি ফেলে লাশ দাফন সম্পন্ন করা হবে।

টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প আর্মড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. রকিবুল ইসলাম জানান, ‘ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে বন্যহাতির আক্রমণে তার মৃত্যু হয়েছে। সে সেখানে বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলো বলে জানা গেছে।’

বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ বলেন, ‘২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতার পর উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। পাহাড়ি এলাকার গাছপালা কেটে তারা গড়ে তুলেছে অসংখ্য ঝুপড়ি ঘর।

এতে বাসস্থান ও খাবার সংকটে পড়া হাতির দল বিভিন্ন সময় লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এতে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: