কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে বিরল প্রজাতির পোকার সন্ধান, খেয়ে ফেলছে পাতা; পঙ্গপাল?

ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে একদল পঙ্গপাল সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষি জমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই আসবে বাংলাদেশের দিকে। কয়েকদিন আগে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছিল ভারতের হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে। আর এবার কক্সবাজারের টেকনাফে একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি ফার্মে বিরল প্রজাতির পোকার সন্ধান পেয়েছে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর। দেখতে পঙ্গপালের মতো এই পোকাটি গাছের পাতাগুলো খেয়ে ফেলছে।

জানা যায়, টেকনাফের লম্বরী এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির আঙিনায় এ পোকা হানা দেয়। আম গাছ, তেরশল গাছসহ অসংখ্য গাছের পাতা নষ্ট করে ফেলেছে। কোথাও কোথাও শাখা ছাড়া কোনো পাতা নেই। আবার কিছু পাতা পোকায় খাওয়ার মতো ছিদ্র, কিছু পাতা ঝলসে গেছে। গত ১৮ এপ্রিল টেকনাফ উপজেলায় একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি ফার্মে এ পোকার সন্ধান মেলে। পরে কৃষি কর্মকর্তারা গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে রিপকর্ড কিটনাশক ব্যবহার করে পোকাগুলো মেরে ফেলেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টেকনাফে বিভিন্ন এলাকায় বাগানের বিভিন্ন ফলজ ও বড় বড় গাছের পাতাগুলোতে হাজার হাজার পোকা বসছে এবং খেয়ে ফেলছে পাতা। দিনের বেলায় এই পোকার আক্রমণ কম দেখা গেলেও রাতে আক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়। তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, দেখতে পঙ্গপালের মতো হলেও পোকাটি পঙ্গপাল নয়। এ পোকাটি গাছের সব পাতা নিমেষেই শেষ করতে পারে। এ ধরনের পোকা বাংলাদেশে আর দেখা যায়নি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, দেখতে পঙ্গপালের মতো হলেও পোকাটি পঙ্গপাল নয়। এ ধরনের পোকা বাংলাদেশে আর দেখা যায়নি। টেকনাফে একটি ফার্মে এ পোকার সন্ধান পাওয়ার পর স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা এটি পর্যবেক্ষণ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, পঙ্গপালের পাখা থাকে ও সহজে উড়তে পারে। এটির তেমন পাখা দেখা যায়নি। এগুলো লাফাতে পাড়ে, উড়তে পারে না। তবে যেহেতু কাঁচা পাতা খেয়ে ফেলছে, এ পোকা নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর। এ ধরনের পোকার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এখন অনেকটা কমে গেছে।

পাঠকের মতামত: