কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টেকনাফে শাশুড়ি হত্যা-শ্যালিকার হাত বিচ্ছিন্ন: জামাইয়ের ৪০ বছরের কারাদণ্ড

টেকনাফে শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় জামাতা শামসুল আলমকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ছাড়াও শ্যালিকার হাত বিচ্ছিন্নও করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর দুপুরে সীমানা বিরোধের জেরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে।

বুধবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতেই শাশুড়িকে হত্যার দায়ে ৩০ বছর এবং শ্যালিকার হাত বিচ্ছিন্ন করার অপরাধে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল।

নিহতের স্বামী ও মামলার বাদী আবদুল গফুর জানান, ‘ঘাতক শামসুল আলম আমার জামাতা ও প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে আমাদের সীমানা বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর দুপুরে সীমানা বিরোধের জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা এবং আমার ছোট মেয়ের হাত বিচ্ছিন্ন করে ঘাতক শামসুল আলম। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করি।

সে মামলার রায় হয়েছে।’
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, হত্যা ও হত্যা চেষ্টার আইনের তিনটি ধারায় শামসুল আলমকে পৃথকভাবে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হাত বিচ্ছিন্ন করার দায়ে ১০ বছর এবং হত্যার দায়ে ৩০২ ধারায় ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে মোট ৪০ বছরই কারাভোগ করতে হবে।

পাঠকের মতামত: