কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ডিম ও মুরগির দামে বিপাকে সাধারণ মানুষ

পণ্যমূল্যের লাগাম টানা যাচ্ছে না কোনোভাবেই। দফায় দফায় বাড়ছে মুরগি ও ডিমের দাম। পাইকারিতে একটি ডিম ১০ টাকার কমে বিক্রি হলেও, খুচরা পর্যায়ে নেয়া হচ্ছে ১৩ টাকা পর্যন্ত। আর ব্রয়লার মুরগির দাম পৌঁছেছে কেজিতে ২০০ টাকায়। এজন্য জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ বড় কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটকে দুষছেন খামারিরা।

এদিকে, ডিম ও মাংসের দাম নাগালের বাইরে চলে গেলে ঝুঁকিতে পড়বে জনস্বাস্থ্য, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের খালেদ পোল্ট্রি ফার্ম গত দশ বছর ধরে মুরগি ও ডিম উৎপাদন করে আসছে। ৯ টাকা খরচ করে একটি ডিম উৎপাদনের পর পাইকারের কাছে বিক্রি করা হয় ৯ টাকা ৮০ পয়সায়। তবে গত কয়েক মাসে পোল্ট্রি ফিডের দাম কয়েক দফায় বাড়ায় খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে খামারিদের।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে গত এক সপ্তাহে ডিমের দাম ৩ দফা বাড়িয়েছে বিক্রেতারা। ব্রয়লার, সোনালিসহ সব ধরনের মুরগির দামও বাড়ায় নাভিশ্বাস ক্রেতাদের।

পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের নেতাদের দাবি, নানা সংকটে গত ৬ মাসে বন্ধ হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার খামার। বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চা মুরগির বাজার চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ কারণে একচেটিয়া বাড়ছে দাম।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের মানুষের প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ডিম ও মুরগির দাম নাগালের মধ্যে রাখা জরুরি। আর দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি ভোক্তাদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাবের।

দেশে প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি ডিমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হচ্ছে সোয়া এককোটি। এ অবস্থায় ফিডের দাম কমানোসহ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবি পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের আর দাম স্থিতিশীল রাখার দাবি ক্রেতাদের।

পাঠকের মতামত: