কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডুবে যাওয়া লঞ্চ শনাক্ত, স্বজনদের অপেক্ষা, এখনো নিখোঁজ ২৫

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও ডুবুরি দল। রাত ১২টায় উদ্ধার অভিযান সাময়িক শেষ হলেও সকাল ৮টার দিকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও ২৫ জন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, যে লঞ্চটি ডুবে গেছে সেটি বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় শনাক্ত করতে পেরেছে। উদ্ধার অভিযানে এক সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, জেলা পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ মুন্সীগঞ্জে যাচ্ছিল। এ সময় একটি কার্গোবাহী জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। লঞ্চটিতে ৪৬ জন যাত্রী ছিল। ইতোমধ্যে ২০ জন সাঁতার দিয়ে তীরে উঠে আসতে পেরেছে।

তিনি বলেন, লঞ্চডুবির ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে সৎকারের জন্য নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। আর যারা আহত হয়েছেন কিংবা অসুস্থ আছেন তাদের জন্য সরকার ব্যবস্থা করবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম আরও বলেন, যে কার্গো জাহাজটি এই দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়েছে আমরা নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ডেকে নির্দেশনা দিয়েছি সেটিকে আটক করার জন্য। আশা করছি তারা দ্রুতই আটক করতে পারবে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার সময় প্রচুর বাতাস এবং বৈরি আবহাওয়া ছিল। এ সময় পেছন থেকে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করা গেছে।

নদীর পার থেকে লঞ্চটি ৬০ থেকে ৭০ গজের মধ্যে রয়েছে।

পাঠকের মতামত: