কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঢেউয়ের ধাক্কায় বিধ্বস্ত কক্সবাজারের ঝাউবন

বৈরী আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল। সাগরের পানির জোয়ারে বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতের ঝাউবিথীতে। জোয়ারের পানির এই ধাক্কায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের অনেক গাছ ভেঙে গেছে।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে জোয়ারের পানিতে বিলীন হয়ে গেছে বড় বড় ঝাউগাছ। বনবিভাগ জানিয়েছে শহরের বিভিন্ন সৈকত পয়েন্টে শতাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে।

উপকূলীয় কস্তুরাঘাট বন বিটের বাগান মালি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল হয়ে জোয়ারের পানি উপকূলে চলে আসে। এতে বড় বড় ঢেউ ঝাউবাগানে আঘাত করার ফলে গাছগুলো ভেঙে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টে এ পর্যন্ত ৩০টি গাছ ভেঙেছে। এই গাছগুলো ১০-১৫ ফুট করে কেটে বাগানের এক পাশে রাখা হবে। পরে সব গাছের হিসেব করে আমাদের বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে।

বন বিটের কর্মচারী আবদুল জলিল বলেন, ‘সৈকতে ঢেউয়ের আঘাতে যত গাছ ভেঙে যায় সব কেটে স্তূপ করা আমার দায়িত্ব। গুনে দেখেছি এখন পর্যন্ত ডায়াবেটিক পয়েন্টে ৩০টি ঝাউগাছ ভেঙেছে। আরও গাছ ভাঙার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, ‘পূর্ণিমার জোয়ারে সাগর যখন উত্তাল থাকে তখন ঢেউ উপকূলে আঘাত হানে। পানির সীমানা থেকে ১ কিলোমিটার উপকূল ফাঁকা রাখা উচিত যেন ঢেউগুলো সহজে মুভমেন্ট করতে পারে। এখানে বেড়িবাঁধ দিয়েও ফলপ্রসু হবে না কারণ প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে চলে। জোয়ার কিংবা ঢেউয়ের ধাক্কায় ঝাউবনের ক্ষতি হবে সেটা স্বাভাবিক। পানি নিচে চলে যাবে আবার সময়ে উপকূলে উঠবে প্রকৃতির এই নিয়ম চলমান থাকবে। গাছ ভাঙছে বলে বসে থাকলে হবে না। সেই স্থানে গাছ আরও লাগাতে হবে।

পাঠকের মতামত: