কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

তাবলিগে যোগ দেয়া করোনায় আক্রান্ত ৬৪৭, উদ্বেগ বাড়ছে ভারতে

দিল্লির নিজামউদ্দিনের তাবলিগ জামাতের সমাবেশে হাজির হওয়া মানুষদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে গোটা ভারতে। সেই উদ্বেগ এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দিল সরকারের একটি পরিসংখ্যান। ওই সমাবেশে অংশ নেয়া এমন প্রায় ৬৫০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়, গত দু’দিনে তাবলিগ জামাতের সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন এমন ৬৪৭ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। দেশের ১৪টি রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন আক্রান্ত হওয়া এই মানুষগুলো।

মার্চ মাসের শুরু থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দিল্লিতে ধর্মীয় জমায়েতের ডাক দিয়েছিল তাবলিগ জামাত।

তাতে যোগ দিতে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার মানুষ। বিশ্বজুড়ে করোনা তখন রীতিমতো থাবা বসিয়েছে। সেই আবহেই মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কিরঘিজস্তান থেকে বিদেশিরা যোগ দেন।

১৫ মার্চ অনুষ্ঠান শেষের পরেও নিজামউদ্দিন এলাকাতেই থেকে যান অনেকে। জনতা কারফিউর আগের দিন অর্থাৎ ২১ মার্চ ওই মসজিদে ছিলেন ১৭৪৬ জন।

যাদের মধ্যে ২১৬ জন বিদেশি ছিলেন। আর গোটা দেশে সেই সময়ে বিদেশ থেকে আসা মুসলিম ধর্মপ্রচারক ছিলেন ৮২৪ জন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৩০০ প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন সমাবেশে। সেই সব প্রতিনিধি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা মিলিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৫৫০ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আরও অনেকে ভর্তি দিল্লিসহ দেশের ২৩টি রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে।

আরও জানা গিয়েছে, ওই সমাবেশে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণকারী এসেছিলেন তামিলনাড়ু থেকে। ওই রাজ্য থেকে এসেছিলেন প্রায় ৫০০ জন। উত্তরপ্রদেশ ইতোমধ্যেই ১৬০ জনকে চিহ্নিত করেছে, যারা ওই ধর্মসভায় অংশগ্রহণ করেছেন। মহারাষ্ট্র থেকে ১০৯, মধ্যপ্রদেশ থেকে ১০৭, বিহার থেকে ৮৬ জন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭৩ জন, তেলঙ্গানা থেকে ৫৫ জন, ঝাড়খণ্ড থেকে ৪৬ জন ওই ধর্মসভায় যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

এছাড়াও, মেঘালয়, ওড়িশা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, আন্দামান, হিমাচল প্রদেশ থেকেও মানুষ গিয়েছিলেন ওই ধর্মসভায়। আন্দামানে ৯ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে যারা ওই তাবলিগে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যাদের মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে দিল্লি থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের গন্তব্যে ফিরে গিয়েছেন। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কাটা বেড়ে গিয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার।

পাঠকের মতামত: