কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

থমথমে বসুরহাট, আটক ২৭

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা চলছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিনে দেখা যায়, ১৪৪ ধারা জারির কারণে বসুরহাট শহরে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম। বেশিরভাগ দোকানপাটও খোলেনি।

মঙ্গলবারের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় রাতেই ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন।

বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে বলে জনিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর।

তিনি সমকালকে বলেন, সংঘর্ষ ও বিস্ফোরণের পর গুলিতে একজন নিহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রশসান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ও রাতে সংঘর্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ, ডিবি ও র‌্যাব সদস্যরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উল্লেখ্য, মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে মঙ্গলবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের দ্বন্দ্বে নিহত হন আলাউদ্দিন (২২) নামের এক ছাত্রলীগ নেতা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের এ দু’পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও মুহুর্মুহু গুলিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো বসুরহাট বাজার। বাদলের সমর্থকদের গুলিতে নিহত হন কাদের মির্জার অনুসারী আলাউদ্দিন। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মোজাক্কির গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

পাঠকের মতামত: