কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নতুন পদ্ধতিতে যেভাবে কাটা যাবে ট্রেনের টিকিট

ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিদেশি নাগরিকদের ট্রেনে ভ্রমণে পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে। বুধবার (১ মার্চ) থেকে সারাদেশে এই পদ্ধতি কার্যকর।

সেটি নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেজ থেকে যাচাই করা হবে। যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে অন্য কেউ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবে না।

অনলাইনের মাধ্যমে যেভাবে করা যাবে নিবন্ধন-
শুরুতে বর্তমান Username ও Password দিয়ে ওয়েবসাইট বা রেল সেবা অ্যাপে (rail sheba app) লগইন করতে হবে। সেখানে এনআইডি (NID) নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখে ভেরিফাই (verify) বাটনে ক্লিক করতে হবে।

নতুন নিবন্ধনকারীদের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট অথবা রেল সেবা অ্যাপে (rail sheba app) গিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর সঠিক এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ ভেরিফাই করে অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

অফলাইন বা এসএমএসের মাধ্যমেও করা যাবে নিবন্ধন। এক্ষেত্রে মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে BRNID নম্বর জন্ম তারিখ (জন্ম তারিখের ফরম্যাট-জন্মের সাল/মাস/দিন) এসএমএস পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে। নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেওয়া হবে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে।

নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কিছু শর্তও রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-
১.
১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা পিতা বা মাতার নাম ও এনআইডি দ্বারা নিবন্ধনকৃত রেলওয়ে অ্যাকাউন্ট অথবা জন্মনিবন্ধন নম্বর প্রদান ও জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত অ্যাকাউন্ট দ্বারা পৃথক/এককভাবে টিকেট কিনতে পারবে। এরূপ ক্ষেত্রে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত নামের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্ক যাচাইয়ের জন্য ভ্রমণকালে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।

২.
বিদেশি নাগরিকেরা পাসপোর্ট নম্বর প্রদান ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।

৩.
সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন ব্যতীত কোনো যাত্রী আন্তনগর ট্রেনের টিকেট কিনতে পারবেন না।

৪.
ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবিসংবলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।

৫.
পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকেট ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৬.
যাত্রীরা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের সিস্টেমে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।

৭.
দেশের বিভাগীয় শহরের রেল স্টেশন ও আন্তনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক স্টেশনগুলোয় সর্বসাধারণের নিবন্ধনপ্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য একটি করে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে।

রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। রেলের কর্মকর্তারা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকিট যাচাই করবেন। কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যবস্থাকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বলছে রেলওয়ে।

পাঠকের মতামত: