কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

নতুন বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

চলতি বছরেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এমন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বছরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই। আশা করছি, এ বছর মিয়ানমার তাদের লোকজন ফিরিয়ে নেয়া শুরু করবে। আগেও তারা কিছু রোহিঙ্গা ফেরত নিয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরো চার লাখ রোহিঙ্গা।

আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।

২০১৯ সালে দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হয়নি রোহিঙ্গারা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখেছি, আগেও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তাদেরও তারা ফেরত নেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

সদ্য শেষ হওয়া বছরের শেষ দিকে দুই দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা প্রসঙ্গেও কথা বলেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘ভাসানচর নিয়ে অনেকে মিথ্যাচার করছেন, তারা বলছেন, ভাসানচর নাকি ভেসে যাবে। এটা ঠিক নয়। এই দ্বীপ আগেও ভেসে যায়নি। আগামীতেও এটা ভেসে যাবে বলে আমরা মনে করি না।

কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এক লাখকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আবাসন নির্মাণ করে সরকার। দ্বীপটিতে অনেক আগ থেকে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের চিন্তা-ভাবনা করছিল সরকার। কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলের চাপে তা সম্ভব হচ্ছিল না।

অবশেষে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় উখিয়ার কয়েকটি ক্যাম্প থেকে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গার একটি দল সেখানে পাঠায় সরকার। পরে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় চার শতাধিক পরিবারের ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।

পাঠকের মতামত: