কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কাল থেকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে.

নাইক্ষ্যংছড়িতে ইতি মধ্যে পৌঁছে গেছে বীর বাহাদুর এমপির দেয়া ত্রাণ

আমিনুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি::

দেশেব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকার।
তারই ধারাবাহিকতায় এ আতঙ্কের করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পার্বত্য বিষয় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।
খবর পেলেই ত্রাণ নিয়ে খাদ্য সংকটে পড়া পরিবারের বাড়ি বাড়ি পৌছাঁনোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ।
ইতিমধ্যে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ যারা খাদ্য সংকটে রয়েছে, তাদের বাড়ি বাড়ি ছুটে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার প্রস্তুুতি নিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ
এছাড়াও মাঠে কাজ করছে
উপজেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ‘দূর্যোগে মানবিক প্রয়াস নাইক্ষ্যংছড়ি’ সংগঠন,
রবিবার (৫ এপ্রিল) উপজেলা আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারক নেতাদের বান্দরবান জেলায় আসার সংবাদ পৌছাঁন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।
পৌঁছে যান সরকার দলের উপজেলা নেতারা।
সূত্রে জানাযায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের যে সকল পরিবার খাদ্য সংকটে পড়েছেন তাদের তালিকা করে হাউজ টু হাউজে গিয়ে এই খাদ্যসামগ্রী পোঁছে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

মন্ত্রীর এমন নির্দেশনা মতে খাদ্যসামগ্রী বাহী গাড়ী বিকাল নাগাদ পৌঁছেছে নাইক্ষ্যংছড়িতে।

পাঁচ ইউনিয়নে নিম্ম ও মধ্যবিত্ত মিলে ১ হজার পরিবারের খাদ্যসামগ্রীর মধ্য চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ, সাবান ইত্যাদি রয়েছে ।

আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো,শফি উল্লাহ বলেন,
বান্দরবানের ৭ উপজেলায় ১০ হাজার মানুষের জন্য পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।
তার মধ্য উপজেলার ৫ ইউনিয়নের জন্য ১হাজার পরিবারের খাদ্যসামগ্রী পেয়েছি।
খাদ্য সংকটে পড়া পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যসামগ্রী গুলো পৌছেঁ দেয়ার নির্দেশ প্রধান করেছেন বীর বাহাদুর এমপি। প্রতিটি পরিবারের সুবিধা-অসুবিধার খুঁজ খবর নিয়ে তাঁর কাছে সংবাদ পৌঁছে দিতে বলেছে। আর সরকারের নির্দেশ মতে এ দূর্যোগ পরিস্থিতে যেকোন মধ্য ভিত্ত কষ্ট পাচ্ছে এমন পরিবারের খুঁজখবরও নিতে বলেছেন।
খাদ্য সংকটে পড়া মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুুত রয়েছি।
তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম শেষ করছি আমরা । কাল থেকে পর্যাক্রমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।

করোনা সংক্রমণ রোধে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী বলেন,
উপজেলাতে এমনও কিছু পরিবার রয়েছে যারা কখনোই সরকারি কোন সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী ছিল না। তারা করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পরেছে তারা চক্ষু লজ্জায় না পারছে চেয়ারম্যানদের কাছে যেতে না পারছে উপজেলা প্রশাসনের কাছে কিছু সাহায্য চাইতে।
তারা যদি তাদেরকে ফটো ফ্রেম বন্ধি না দেখিয়ে সাহায্য চায় তাহলে তাদের তথ্য গোপন রেখে বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌছে দেওয়া উচিত। এবং ফটো সেশন বন্দ করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, এ কার্যক্রমে প্রেসক্লাবে কর্মরত সকল সাংবাদিকরা এক সাথে মাঠ পর্যায়ে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

পাঠকের মতামত: