কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নাইজেরিয়ায় গ্রামে ঢুকে জঙ্গিদের হামলা, নিহত ৫৯

নাইজেরিয়ায় জঙ্গিদের হামলায় কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে বন্দুকধারীরা দেশটির উত্তরের বোর্নো স্টেটের গুবিও জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে ঢুকে অতর্কিত এ হত্যাকাণ্ড চালায়।

মানুষকে হত্যার পাশাপাশি গ্রামটিতে ধ্বংসলীলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে। তবে এখনও কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। এসব অঞ্চলে বোকো হারাম ও আইএস সমর্থিত জঙ্গিরা প্রায়ই হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে। খবর বিবিসি ও এএফপির

বোর্নোর রাজধানী শহর মাইদুগুরি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম ফাদুমায় প্রায়ই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে থাকে। জঙ্গিদের হামলা ও লুটপাত থেকে গ্রামটিকে রক্ষা করার জন্য ১০০ জনের বেশি নিরাপত্তা রক্ষী ও স্থানীয় লোক নিয়ে মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করেছিল কর্তৃপক্ষ। ওই গ্রামেই মঙ্গলবার ফের হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।

জঙ্গি বিরোধী মিলিশিয়া সদস্য ও গ্রামটির বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জঙ্গিরা অস্ত্রসজ্জিত গাড়ি ও মোটরসাইকেলে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে।

জঙ্গি বিরোধী মিলিশিয়া বাহিনীর নেতা বাবাকুরা কোলো বলেন, ‘যে গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে সেখান থেকে ৫৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের কেউ কেউ গুলিতে নিহত হয়েছেন। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে।

এই হত্যাযজ্ঞ জঙ্গিদের প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে ভাবা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের এক নেতা কাছাল্লাহ বুমু জানান, ‘গ্রামবাসী ওই জঙ্গিদের গতিবিধির সংবাদ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে প্রকাশ করেছে, এমন সন্দেহ থেকেই হামলা চালায় তারা।’

ওই নেতা আরও বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের জাতিগোষ্ঠীর ৫৯ জন মানুষকে হারালাম। জঙ্গিরা হত্যাযজ্ঞ শেষে গ্রামের ১২০০ উট-ভেড়া লুট করে নিয়ে গেছে।

আফ্রিকা অঞ্চলের দুর্ধর্ষ জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম এবং আইএস সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসডব্লিউএপি উভয়পক্ষই প্রায়ই নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে। এক দশক ধরে বোকো হারামসহ জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহারা হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।

পাঠকের মতামত: