কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নাফ নদীতে নামছে অত্যাধুনিক জলযান: কমবে ইয়াবা, মানবপাচার ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় সীমান্তবর্তী নাফ নদী। আন্তঃদেশীয় অপরাধীদের নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন, মানবপাচার, চোরাচালান ও ইয়াবাসহ মাদকপাচারে চোরাকারবারীদের অপতৎপরতা এবং চলমান রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ।

দীর্ঘদিনের এ সমস্যাগুলো তিনটি সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক ও দ্রুত গতিসম্পন্ন চারটি ইন্টারসেপটোর জলযান।এগুলো ঘণ্টায় ৫৫ নটিক্যাল মাইল বা ১০১ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলাচলে সক্ষম এসব জলযান।

এর ফলে টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিবি’র অত্যাধুনিক জলযান বিশাল এলাকা জুড়ে টহল জোরদার করতে পারবে । আর এর ফলে অনেকাংশে হ্রাস পাবে কমবে ইয়াবা,মানবপাচার ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় বিজিবির সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই জলযানগুলো বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। সিলভারক্রাফট ৪০ মডেলের রিইনফোর্সড পলিমারের তৈরি ৪০ ফুট দীর্ঘ ও ৭৫০ হর্স পাওয়ারের তিন ইঞ্জিন বিশিষ্ট প্রতিটি জলযান ৩৩ জন সৈন্য ধারণে সক্ষম।

এতে আছে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান সংযুক্তির সুবিধাসহ উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন সিস্টেম, চতুর্থ প্রজম্মের জিপিএস, আধুনিক সোনার সিস্টেম এবং আরও অনেক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। জলযানগুলো নিজস্ব অবস্থান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রু জলযানের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এতে দু’জন মুমূর্ষু রোগী পরিবহনেরও ব্যবস্থা আছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, মিয়ানমারের সঙ্গে ৬৩ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত বিজিবি প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং টহল করে। এছাড়া ২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থলভাগের সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি নিয়োজিত হয়।

তাই, সেন্টমার্টিনস দ্বীপের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম আরো জোরদার করতে বিজিবিতে সংযোজিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ জলযানগুলো দেশের সীমান্ত এলাকার নদী পথগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ করে সীমান্ত অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, ইয়াবাসহ মাদক পাচার ও চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকের মতামত: