কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

পল্লীতেও জমে উঠেছে চাইনিজ ও ফাস্টফুড ব্যবসা

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠছে বাহারী চাইনিজ-ফাস্টফুড রেস্টোরেন্ট। গ্রাম-পল্লীর নিরিবিলি স্থানে এসব রেস্টোরেন্টের অবস্থান। তরুণ শিক্ষিত যুবকরা উদ্দ্যোগী হয়ে গড়ে তুলছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

রেস্টোরেন্ট গুলোতে আসে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ। শহরের বাইরে পল্লী গ্রামের রেস্টোরেন্টগুলোতে দেশি-বিদেশি খাবার একটু ভিন্ন পরিবেশ ভোক্তাদের আকৃষ্ট করে।

জানা যায়, হঠাৎ করেই শ্রীপুরে গ্রামীণ জনপদে জমে উঠেছে রেস্টোরেন্ট ব্যবসা। বিভিন্ন রাস্তার পাশে অপেক্ষাকৃত নির্জন স্থানে এসব রেস্টোরেন্টের অবস্থান। রাস্তার পাশের নিচু জমিতে খুঁটির উপর কাঠের মাচা করে নির্মাণ করা হয় বাহারী স্থাপনা। গ্রামীণ অভয়বে কাঠ-বাঁশ-খড়ের ব্যবহার করে নির্মিত স্থাপনাগুলোতে করা হয় বর্ণিল ডিজাইনে। তৈরি করা হয় মনোরম পরিবেশ। বর্ণিল আলোর ঝলক রাতের আঁধারে দূর থেকে নজকারে।

শ্রীপুরের উল্লেখ যোগ্য রেস্টোরেন্টগুলো হলো, লবলং ফুড পার্ক এন্ড পার্টি সেন্টার, চিরকুট রেস্টেরেন্ট, বৃষ্টি বিলাশ, গ্রীণ পার্ক, ফুড পেলেস, স্কাই ব্লু, জলবিলাষ ফুড এন্ড পার্টি সেন্টার, গল্প কুটির, জল রাঙ্গা, স্বপ্ন নীর, সাদিয়া কটেজ, লবঙ্গ, কুটুম বাড়ি, খানা পিনা। এছাড়া রাজা বাড়ি, বরমী, পৌর সহড়ের আনসার রোড, গলদা পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ টির বেশি রেস্টোরেন্ট রয়েছে।

নিবৃত গ্রামে বসে শহরের স্বাদ পাওয়া যায় এসব রেস্টোরেন্টে। ফরমায়েশ দিলেই তৈরি করা হয় পছন্দের খাবার। মেনুতে থাকে ইন্ডিয়ান, থাই, চাইনিজ, বাংলা খাবার, কোমল পানিয়, ফাস্টফুডসহ রকমারী খাবার।এসব রেস্টোরেন্টে রয়েছে ছোট খাটো পার্টি করার ব্যবস্থাও। বিকেলে,সন্ধ্যায় এবং ছুটির দিনে অপেক্ষা কৃত বেশি গ্রাহক আসেন। বিভিন্ন উৎসবে ভীর বেড়েযায় কয়েকগুন।

চিরকুট রেস্টোরেন্টের মালিক সাইদ শাহরিয়ার অভি বলেন, বিশাল পাথারের মধ্যে মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে রেস্টোরেন্টটি। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ইন্ডিয়ান,থঠন,চাইনিজ খাবার রিবেশন করা হয়।

গল্প কুটির রেস্টোরেন্টের মালিক হাসিবুল হাসান মামুন বলেন, ফাস্টফুডের পাশাপাশি রয়েছে মিনি চাইনিজের আয়োজন। সুলভ মূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয়। জন্মদিনসহ ২০/৩০ জনের বিভিন্ন পার্টির ব্যবস্থাও রয়েছে।

লবলং ফুড পার্ক এন্ড পার্টিসেন্টারের মালিক মো. শামীম আহাম্মেদ মৃধা বলেন, এলাকায় শিল্পোন্নয়নের ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। পাশাপশি চাহিদার ও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা চিন্তা করেই রেস্টোরেন্ট গড়ে তোলা হয়েছে।

ফুড পেলেস রেস্টোরেন্টের পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, দু’বছর ধরে ব্যবসা করছেন। চাইনিজ ফাস্টফুড কোমল পানিয় জাতীয় খাবার বিক্রি করে থাকেন। সব বয়সের গ্রাহকরাই আসে। ছুটির দিন বা উৎসবে গ্রাহকের চাপ থাকে খুব বেশি।

পাঠকের মতামত: