কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে প্রশাসনের সভায় ১৮ দফা নির্দেশনা

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী::

ঈদুল আযহা উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার অনুমোদিত স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদারদের সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অনলাইন প্লাটফর্মে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত উক্ত জুম প্লাটফর্মে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

উক্ত জুম কনফারেন্সে কক্সবাজারের স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক (উপ সচিব) শ্রাবস্তি রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব -উপসচিব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহজাহান আলি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ উন্নয়ন) এস. এম সরওয়ার কামাল, সদরের ইউএনও মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, রামু’র ইউএনও প্রণয় চাকমা, উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান, টেকনাফের ইউএনও মোঃ সাইফুল ইসলাম, মহেশখালী ইউএনও জামিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়ার ইউএনও জিয়াউল হক মীর, চকরিয়ার ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, পেকুয়ার ইউএনও সাঈকা সাহাদাত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বৃন্দ, পশুর হাট ইজারাদারগণ আলোচনায় অংশ নেন।

সভায় করোনা পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্দেশনা সমুহ হলো:

(১) আবশ্যিকভাবে খোলা স্থানে বাজার স্থাপন করতে হবে, কোন আবদ্ধ স্থানে বাজার করা যাবে না। চতুর্দিকে ফেন্সিং করতে হবে।
(২) ঢোকার পথ ও বাহিরের পথ পৃথক করতে হবে।
(৩) মাস্ক ছাড়া কোন বিক্রেতা পশু বিক্রয় করতে বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না।
(৪) মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতা বাজারে প্রবেশ করতে পারবে না।
(৫) প্রবেশপথে মাইক থাকবে। স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলার নির্দেশনা ক্রমাগত বলার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৬) প্রবেশপথে হাত ধোয়ার বেসিন, সাবান ইত্যাদি রাখতে হবে।
(৭) পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করে বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। জলাবদ্ধতা যেন তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
(৮) স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত পর্যাপ্ত ব্যানার, পোস্টার লাগাতে হবে।
(৯) সকল পশু একসাথে হাটে না ঢুকিয়ে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পশুর হাটে রাখতে হবে।
(১০) সর্দি,কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।
(১১) শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।
(১২) হাটে প্রবেশ, বের হওয়া ও মূল্য প্রদানের সময় আবশ্যিকভাবে সারিবদ্ধভাবে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব রেখে চলাচল করতে হবে।
(১৩) হাসিলের কাউন্টার একাধিক করতে হবে।
(১৩) হাটে স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টিম রাখতে হবে।
(১৪) এক পশু হতে অন্য পশুর দূরত্ব এমনভাবে রাখতে হবে, যেন ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশু ক্রয় করতে পারে।
(১৫) একটি পশু ক্রয়ের জন্য দুইজনের বেশি হাটে ঢুকতে পারবে না।
(১৬) বাঁশ দিয়ে পশুর বিক্রেতা হতে ক্রেতার তিন ফুট দূরত্বে দাড়ানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
(১৭) হাটবাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিতকরণে সিপিপি ভলান্টিয়ারদের নিয়োজিত করতে হবে।
(১৮) চুরি, ছিনতাই সহ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি রোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সকল ক্রেতা বিক্রেতাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সভায় অনুরোধ জানানো হয়।

পাঠকের মতামত: