কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গৃহবধূর হাত বিচ্ছিন্ন

পেকুয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গৃহবধূর হাত বিচ্ছিন্ন
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

পেকুয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গৃহবধূর হাত বিচ্ছিন্ন

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বালু মহালের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মিন্টু মিয়া (৩৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খাদিজা বেগম (৩৪) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ও হাবিবউল্লাহ (২২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা জুমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিন্টু মিয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি গ্রামের আহমদ মিয়ার ছেলে।

আহত খাদিজা বেগম টইটং জুমপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার টইটং ইউনিয়নের জুমপাড়ায় একটি অবৈধ বালু মহাল নিয়ে জয়নাল আবেদীন ও সীমান্তবর্তী উপজেলা বাঁশখালীর পূর্ব পুঁইছড়ি গ্রামের মিন্টু মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মূলত বালু মজুদ রাখার জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিন্টু মিয়ার কাছ থেকে জয়নাল আবেদীন বনবিভাগের কিছু রিজার্ভ জমি ক্রয় করে। জমি বিক্রয়ের কিছু টাকা পাওনা ছিল মিন্টু মিয়া। টাকা না দেয়া জের ধরে মিন্টুসহ বাঁশখালীর এলাকার ৮-১০ জন যুবক জয়নালের বাড়িতে এসে টাকা না দেয়ার বিষয়ে জানতে চায়। পরে বাকবিতণ্ডার জের ধরে জুমপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।

এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন মিন্টুকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে খাদিজা বেগম নামের এক মহিলার হাতও বিচ্ছিন্ন হয়। নিহত মিন্টু মিয়ার ছোট ভাই হেফাজ উদ্দিন জানায়, আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

টইটং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কালভার্টের উপর মিন্টু মিয়া নামে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে।

বালি মহালের বিরোধ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানায়, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।

পাঠকের মতামত: