কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় কীটনাশক পানে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজিরপাড়া এলাকা থেকে তাবাচ্ছুম জান্নাত নামে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তাবাচ্ছুম হাজিরপাড়া এলাকার আইয়ুব আলীর মেয়ে ও রাজাখালী বেশারাতুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র৷

তাবাচ্ছুম শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কীটনাশক পান করলে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন। তবে পরিবারের সদস্যরা পেকুয়া হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে চান। ঘন্টাখানেক পর তাবাচ্ছুম মারা যায়। তাবাচ্ছুমের মৃত্যুর পর তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে দাফন-কাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

তাবাচ্ছুমের বাবা আইয়ুব আলী বলেন, শুক্রবার তিনি ও তার স্ত্রী বাঁশখালীর পুইঁছড়ি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। রাত দুইটার দিকে তার ছেলে মো. রাসেল খবর দেন তাবাচ্ছুম কীটনাশক পান করেছে। তড়িঘড়ি করে রাতেই বাড়িতে ফিরে তাবাচ্ছুমকে হাসপাতালে নেন তারা।

আইয়ুব আলীর দাবি, তার মেয়ের সঙ্গে বাঁশখালী এলাকার এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। শুক্রবার রাতে বাড়ির পাশে একটি জায়গায় ওই ছেলে তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন। ওই সময় ছেলেটি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে এলাকার লোকজন বলাবলি করছে। এরপর বাড়িতে গিয়ে কীটনাশক পান করেন তাবাচ্ছুম।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তার মাহফুজুর রহমান বলেন, তাবাচ্ছুমকে বিষপানের রোগী হিসেবে হাসপাতালে আনা হয় এবং বিষক্রিয়ায় সে মারা গেছে। পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে তাকে বিষপানের রোগী হিসেবেই নিবন্ধন করা হয়েছে। ওই সময় ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার কোনো কথা বলা হয়নি।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রী তাবাচ্ছুমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে যৌন হয়রানির কোনো বিষয় আছে কিনা তা স্পষ্ট হবে। তবে পেকুয়া হাসপাতালের নিবন্ধন বইতে যৌন হয়রানির কোনো আলামতের কথা উল্লেখ নেই।

পাঠকের মতামত: