কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

টেকনাফে বস্তায় মিলল ৯০ লাখ টাকার ইয়াবা

কক্সবাজারের টেকনাফে হ্নীলা লেদা এলাকা থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর মূল্য ৯০ লাখ টাকা। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার ভোররাতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লেদা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ লেদা খাল দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লেদা বিওপির বিশেষ টহলদল দ্রুত ওই এলাকায় গিয়ে বেড়িবাঁধের পিছনে গোপনে অবস্থান নেয়। আনুমানিক কিছুক্ষণ পরে টহলদল একজন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে বিআরএম ১১ হতে ১ কি.মি. দক্ষিণে এবং লেদা খালের ১০০ গজ পূর্ব দিক দিয়ে ১টি বস্তা কাঁধে করে নাফনদী কিনারা হয়ে আসতে দেখে। টহলদল নাইট ভিশন ডিভাইস দ্বারা ওই ব্যক্তিকে দেখা মাত্র চ্যালেঞ্জ করে, দ্রুত অগ্রসর হয়।
দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তি দূর হতে বিজিবি টহলদলের অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত বস্তাটি ফেলে দিয়ে কুয়াশা ও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে লেদা খালের আঁড় ব্যবহার করে নদী সাঁতরিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যায়।

পরে টহলদল ওই স্থান পৌঁছে তল্লাশি করে ইয়াবা পাচারকারীর ফেলে যাওয়া ১টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধার বস্তার ভেতর থেকে ৯০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, ইয়াবা পাচারকারীকে আটকের জন্য ওই এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তীতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোনো পাচারকারী বা সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ওই স্থানে অন্য কোনো অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি।

ফলে ইয়াবা পাচারকারীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে শনাক্ত করার জন্য এই ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান।
তিনি আরও জানান,উদ্ধার হওয়া ইয়াবা ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে।   পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে এগুলো ধ্বংস করা হবে।

পাঠকের মতামত: