কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাঁশখালীতে গৃহবধূর মৃত্যু! স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোক পলাতক

বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউপির চানপুর গ্রামে আইরিন আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবা আবু ছালেকের দাবি, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোক পালিয়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহেদ মো. সাইফুদ্দিন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে পরিবারের লোকজন লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ নিয়ে যায়।

নিহতের বাবা আবু ছালেক বলেন, বিয়ের পর স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়ে আইরিনকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। এজন্য আমরা বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। পরবর্তীতে স্বামী নির্যাতন করবে না অঙ্গীকার দিলে মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে আইরিন অসুস্থ হয়েছে বলে জানায়। পরে ১০টায় আবার বলে আমার মেয়ে ফাঁস খেয়েছে, তাকে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। এ বলে তারা মোবাইল বন্ধ করে দেয়।

নিহতের চাচী রোকেয়া বেগম বলেন, আইরিনকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার হাতে, পায়ে, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু না।

পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, চন্দ্রপুর ১৪ নম্বর মাঠ এলাকায় এক গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। তাদের পারিবারিক ঝামেলা ছিল। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে জানিনা।

বাঁশখালীর রামদাসহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বরত এসআই রাকিবুল ইসলাম বলেন, নিহত আইরিন আকতারের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিউল কবির বলেন, পুকুরিয়ায় এক গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। পবিরারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: