কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বাগেরহাটে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১৭, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

বাগেরহাট সদরের ডেমা ইউনিয়নে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যে আটক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাইসেন্সকৃত একটি দোনালা বন্দুক ও ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ডেমা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ডেমা গ্রামে বর্তমান সদস্য মো. সজিব তরফদার ও ইউপি সদস্য প্রার্থী অহেদ মোস্তফা বাপ্পীর সমর্থকদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে।

ফের সংঘর্ষ এড়াতে রাত থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের রাতভর অভিযানে আটকৃতরা হলেন, ইউপি সদস্য প্রার্থী অহেদ মোস্তফা বাপ্পির সমর্থক ডেমা ইউনয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরফদার মাস্টার মকবুল হোসেন (৭১), তার মেয়ে মাকসুদা তরফদার (৩৫), মল্লিক সুজাউদ্দিন রচি (৪০) ও জসি মল্লিক (২৬)।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ে উভয় পক্ষের ১৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ খবর পেয়ে পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে আটক ও তার লাইসেন্সকৃত একটি দোনালা বন্দুক ও ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে গুলিবিদ্ধদের বাগেরহাট ও খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য সজিব তরফদারের ভাই সোহেল তরফদার মুঠোফোনে জানান, আমার ভাই সজিব তরফদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মিন্টু তরফদার ও ইউপি সদস্য প্রার্থী অহেদ মোস্তফা বাপ্পি বাপ্পিসহ তার সমর্থকরা আমাদের বাড়িতে এসে খুঁজতে থাকে। এসময় আমার মা সকিনা আক্তার বুলু বাইরে বের হয়ে কারণ জানতে চাইলে তারা গুলি বর্ষণ করেন। এতে আমার মা সকিনা আক্তার বুলু, রিপন তরফদার, মেহেরুন বেগম, সোহেল, সুজা তরফদারসহ কমপক্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়।

আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমার মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন।
ইউপি সদস্য প্রার্থী অহেদ মোস্তফা বাপ্পি মুঠোফোনে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমার সমার্থক নিয়ে দোয়া চাইতে বের হলে বর্তমান ইউপি সদস্য সজিবের বাড়ির সামনে থেকে যাওয়ার সময় আমাদের উপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে সজিব ও তার লোকেরা। এসময় আমার সমর্থক রুহুল আমিন গাজী, নওশের শেখ, মাহফুজ শেখ, রবিউল, অনিক, মিকাইল, হেলাল গাজী, মিলন শেখ, বেলাল শেখ, হৃদয়, রিন্টু তরফদারসহ ১২জন আহত হয়েছেন।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, আহতদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত রয়েছে।

ধারণা করছি এটা শটগানের গুলি হতে পারে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাফিন মাহমুদ মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ এ ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ পুলিশ সাবেক ইউপি চেয়াম্যানসহ ৪ জনকে আটক করেছে ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্তিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে কিনা তা চিকিৎসকরা নিশ্চিত করতে পারবেন।

পাঠকের মতামত: